ঢাকা ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কক্সবাজারের এডিএম

নির্বাচনে আচরণবিধি রক্ষায় কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

নির্বাচনে আচরণবিধি রক্ষায় কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন শতভাগ নিরপেক্ষ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ এবং কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা পৌর এলাকায় ঘুরে ঘুরে কোথাও আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কি না তা দেখছেন। কোনোভাবে অভিযোগ আসলে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।

এডিএম বলেছেন, কোনোভাবেই আচরণবিধি লঙ্ঘন মেনে নেয়া হবে না। এজন্য প্রার্থীদের নিজ দায়িত্বে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি। অন্যতায় আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

কক্সবাজার পৌর নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে গত শনিবার রাতে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান। এ সময় অভিযান, জরিমানা আদায়, নির্বাচনি কার্যালয় বন্ধ ও পোস্টার অপসারণের নানা বিষয়ের ব্যাখ্যা দেন তিনি।

গত শুক্রবার নারিকেল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের নারী কর্মীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদানের বিষয়ে এডিএম বলেন, নানাভাবে নির্বাচনে আর্থিক একটি লেনদেন হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সেখানে গিয়ে কয়েকজন নারী কর্মীকে বিশেষ টোকেন প্রদান করতে দেখা যায়। এদের জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া যায় এই টোকেন প্রদর্শন করলে প্রদান করা হয় টাকা। পরে প্রার্থীসহ তার পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে এটা কর্মীদের পারিশ্রমিকের টোকেন বলে স্বীকার করে। যা আচরণবিধি মতে এক ধরনের অপরাধ। প্রার্থী যদি নির্বাচনি কর্মীদের কোনো অর্থ দিয়ে থাকেন অবশ্যই সেটি রেজিস্টারভুক্ত করতে হবে। ফলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রার্থীর পক্ষে অপরাধ স্বীকার করার পর এই জরিমানা প্রদান করা হয়।

অভিযানের পরবর্তী সময়ে প্রার্থীর পক্ষে এটাকে হয়রানি বলে দাবির বিষয়ে এডিএম বলেন, জরিমানা প্রদানের পর এটা আপিলের সুযোগ ছিল। তা না করা মানেই অপরাধ মেনে নেয়া। এর বাইরে কে কি বলছেন তা দেখার বিষয় না।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, আচরণবিধি মতে একজন মেয়র প্রার্থী ৫টির বেশি কার্যালয় রাখতে পারেন না। আমরা প্রার্থীর কাছ থেকে কার্যালয়ের তালিকা নিয়েছি। এই তালিকার বাইরে বেশ কিছু কার্যালয় পাওয়া যাচ্ছে। অনেক কার্যালয় বন্ধ করা হয়েছে। গতকাল রোববারের মধ্যে নিজ দায়িত্বে প্রার্থীর ৫টি বেশি থাকা কার্যালয় বন্ধ করার অনুরোধ জানান তিনি। না হয় এসব কার্যালয় বন্ধ করার পাশাপাশি আইনের প্রয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি।

নির্বাচনে দেয়ালে পোস্টার লাগানো নিষেধ, প্রার্থীরা তাও মানছেন না জানিয়ে তিনি বলেন, পোস্টার দেয়ালে থাকার কারণে ছিঁড়ে দেয়া হয়েছে। আরো পোস্টার আছে, এটাও প্রার্থীকে নিজ দায়িত্বে তুলে নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। এখন থেকে পোস্টারের ক্ষেত্রেও আইনের প্রয়োগ করা হবে। এছাড়া নির্বাচনে সংঘাতপূর্ণ বক্তব্য ও হুমকি প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এসবের প্রমাণ নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হচ্ছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত মতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য মতে, কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৯৪ হাজার ৮০২ জন। পুরুষ ভোটার ৪৯ হাজার ৮৭৯ ও নারী ভোটার ৪৪ হাজার ৯২৩ জন। ১২টি ওয়ার্ডের ৪৩টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১২ জুন। এ নির্বাচনে ৫ মেয়র প্রার্থীসহ ৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত