ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্যরকম

অরুণাচলের পাহাড়ে হিমালয়ান কাঠবিড়ালি!

অরুণাচলের পাহাড়ে হিমালয়ান কাঠবিড়ালি!

হিমালয়ান কাঠবিড়ালি (হিমালয়ান মারমোট) থাকার অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেল ভারতের অরুণাচল প্রদেশে। হিমালয়ান মারমোট হলো বিরল স্থল কাঠবিড়ালি প্রজাতির একটি প্রাণী। এতদিন ছোট্ট এই প্রজাতির কাঠবিড়ালিকে দেখা গিয়েছে লাখাদ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং সিকিমে। অরুণাচল প্রদেশেও এই কাঠবিড়ালি আছে বলে এতদিন শোনা যেত। কিন্তু এই প্রজাতির প্রাণীর সেখানে থাকার কোনো প্রমাণ ছিল না। এবারই প্রথম এই কাঠবিড়ালির অরুণাচল প্রদেশে থাকার ছবিসহ প্রমাণ পাওয়া গেল। সেখানে হিমালয়ান মারমোট থাকার প্রমাণ পেয়েছেন হিরণ¥য় চেটিয়া নামের এক রিসার্চ স্কলার। হিরণ¥য় অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা। নয়ডার আমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি স্কলার হিরণ¥য় ৪ বছর ধরে কাঠবিড়ালি নিয়ে গবেষণা করছেন। তার এই ‘আবিষ্কার’র কথা প্রকাশিত হয়েছে দ্য জার্নাল অব থ্রেটেন্ড টাক্সায় চীন এবং তিব্বতের সীমান্তে থাকা তাওয়াং জেলার জিথাং এলাকায় এই কাঠবিড়ালির সন্ধান পেয়েছেন হিরণ¥য়। এই কাঠবিড়ালির আকার অনেকটা ছোট বিড়ালের মতোই। এর শরীরে ঘন উলের মতো লোম আছে। এর পিঠ অনেকটাই ধূসর। কান, পেট এবং পা হলুদ।

হিরণ¥য় জানান, ওই এলাকার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য বিভিন্ন প্রজাতির কাঠবিড়ালির ওপর কোনো প্রভাব ফেলছে কি না, তা নিয়েই গবেষণা করছেন তিনি। সেখানের আদিবাসী-জনজাতিদের সঙ্গে কাঠবিড়ালির কী সম্পর্ক তাও দেখছেন তিনি। এই কাজ করতেই তিনি ওই এলাকায় গিয়েছিলেন।

হিরণ¥য় জানান, তিনিও পশ্চিম অরুণাচল প্রদেশের এলাকায় এই কাঠবিড়ালি থাকার কথা শুনেছিলেন। তাই তার বাড়তি আগ্রহ ছিল। তিনি গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে গিয়েছিলেন তাওয়াং। সেখান থেকে থিঙবু এলাকার মাগো গ্রামের দিকে যান হিরণ¥য়। ওই এলাকা মাটি থেকে প্রায় ৩৬০০ মিটার উঁচুতে।

হিরণ¥য় যে জায়গায় এই কাঠবিড়ালি দেখেছেন, সেটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪ হাজার মিটার উচ্চতায়। তিনি বলেন, সেখানে গিয়ে আমি বেশ কিছুটা সময় একটি ক্যাম্পের মধ্যে অপেক্ষা করি। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে আমি সেখানে এই প্রাণীটিকে দেখতে পাই। দেরি না করে আমি পরপর কয়েকটি ছবিও তুলি।

ওই এলাকা দিয়েই বয়ে গেছে ইয়েছাম নদী। তার পাশেই যে ঘাস আছে, সেটা ইয়াকসহ অন্য প্রাণীর খাওয়ার জন্য লাগিয়েছে ব্রোকপা জাতির লোকজন। সেই ঘাস খেতেই এসেছিল ওই প্রাণী।

হিরণ¥য় জানান, পরিষ্কার আবহাওয়া থাকলেই বেরিয়ে আসে এই হিমালয়ান মারমোট। স্থানীয়রা এই প্রাণীকে গোমছেন ছিপকা বলে ডাকে। ওই প্রাণীর কোনো ক্ষতি করেন না স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত