মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে ধর্মঘটসহ লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি কয়েক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেগুলো হলো- ১১ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত বেসরকারি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালন, ১৩ জুন প্রত্যেক জেলা সদরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ, ১৪ জুন থেকে ২০ জুনের মধ্যে জেলায় জেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন। এছাড়া ২৫ জুন পর্যন্ত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং লিফলেট বিতরণ। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পাসের আগেই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দিলে ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, দেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী দ্বারা। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীনে একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।
তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেলের এক ধাপ নিচে দেয়া হয়। অন্যদিকে সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল প্রদান না করার ফলে উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আলী আসগর হাওলাদার, বেগম নুরুন্নাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু জামিল মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।