পৃথিবীর কক্ষপথ প্রদক্ষিণকারী নতুন চাঁদের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নজরে এলো নতুন এই চাঁদ। মহাকাশ বিজ্ঞানীরাদের ভাষ্য, এ যেনো নতুন এক চাঁদ। তবে সে চাঁদের মতো পৃথিবীর উপগ্রহ নয়। কিন্তু এই নতুন চাঁদ প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীকে। তবে চাঁদের মতো গতিবিধি তা নয়। আছে বড় ফরাক। একে তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন ‘কোয়াসি মুন’ বা আধা-চাঁদ। বিজ্ঞানীদের ভাষায় এটি একটি অর্ধেক চাঁদ, যাকে বলা হয় স্পেস রক। বলা হচ্ছে, এটি পৃথিবী এবং সূর্য উভয়ের চারদিকে ঘোরে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ঘোরে। সূর্যকে পরিক্রমা করতে করতে এটি পৃথিবীকেও প্রদক্ষিণ করে ফেলে। ছবি দেখলে বুঝতো পারবেন, ঠিক কীভাবে সূর্য ও পৃথিবী উভয়কেই পরিক্রমা করে এটি। একে বিজ্ঞানীরা বলছেন গ্রহাণু। আগামী ১ হাজার ৫০০ বছর ধরে এই আধা-চাঁদ বা গ্রহাণু, পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে থাকবে। মানে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। এখন প্রশ্ন, এর পর কী হবে। বিজ্ঞানীরা আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, এরপর এই আধা-চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চলে যাবে। তার ফলে পৃথিবীর কোনো বিপদ হবে না। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হাওয়াইতে প্যান-স্টারস টেলিস্কোপের সাহায্যে এই চাঁদটি আবিষ্কার করেছেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে ২০২৩ এফ ডাব্লিউ ১৩। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি ২১০০ বছর ধরে পৃথিবীর চারপাশে বিরাজ করছে। এই চাঁদ সূর্যের চারদিকে ঘুরতে পৃথিবীর সমান সময় নেয় অর্থাৎ ৩৬৫ দিন। ১৩ তো চাঁদ নয়। তবুও বিজ্ঞানীরা কেন একে অর্ধচন্দ্র বলছেন? আসলে এর পেছনে একটা কারণ আছে। এই এফ ডাব্লিউ ১৩ চাঁদ পৃথিবীর পরিবর্তে সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা আকর্ষিত এবং এটি পৃথিবীর সঙ্গে সূর্যকেও প্রদক্ষিণ করে, তাই একে বলা হয় কোয়াসি অর্থাৎ অর্ধ চাঁদ। অন্যদিকে, আসল চাঁদ সম্পূর্ণরূপে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টানে ঘুরে চলেছে।