ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফায়ার সার্ভিসের স্বাধীনতা পুরস্কার উদযাপন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই

রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক সংকট নিরসন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তথা গণতন্ত্রের স্বার্থে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সংলাপ চলমান থাকবে। সংলাপের বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, সবকিছুই সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদরদপ্তরে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ একটি পপুলার পার্টি। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণের ক্ষমতায় চলতে হবে। জনগণের ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাই সংলাপ বা আলোচনার বিকল্প নেই।

জামায়াতে ইসলামীকে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে কি না- এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা রাজনীতি করেন তাদের সভা-সমাবেশ করার রাজনৈতিক অধিকার রয়েছে। তারা তাদের মতামত প্রদর্শন করবে, জানাবে, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী এখন নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃত রাজনৈতিক দল নয়। কাজেই এ বিষয়ে আমাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার সিদ্ধান্ত জানাবেন। ঢাকায় (বায়তুল মোকাররম এলাকায়) সমাবেশ করতে দিলে কোনো নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।

বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা এটুকু মনে করি, রাষ্ট্রদূতরা যেন তাদের শিষ্টাচার মেনে, তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তারা যা করছেন- এটি মনিটরিং করা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। তারা যেটা বলেছে সেটাই যথেষ্ট। তারাই মনিটরিং করছেন। স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ অর্জন উপলক্ষ্যে উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সকলকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩’ অর্জন করায় আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। তিনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ‘দুঃসময়ের বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘অপারেশনাল কাজে আত্মাহুতি প্রদান, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে জনগণকে তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান করায় এ বাহিনী জনগণের আস্থার একটি জায়গায় পরিণত হয়েছে।’ ফায়ার সার্ভিসকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩’ প্রদান করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক মনোভাব কাজে লাগিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার এবং আরো নিষ্ঠা ও আন্তরিকভাবে অপারেশনাল কাজ পরিচালনা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, এ বছর জনসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩-এ ভূষিত করা হয়। গত ৯ মার্চ ২০২৩ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩ প্রাপ্তির বিষয়টি জানা যায় এবং গত ২৩ মার্চ ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩ তুলে দেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত