ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাষ্ট্রপতির কাছে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ

তেল ও গ্যাসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

তেল ও গ্যাসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে তেল ও গ্যাসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশে নবনিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক গতকাল সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশকালে তিনি এ আহ্বান জানান। হাইকমিশনার বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।

যুক্তরাজ্যের নতুন হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ব্রিটেন বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও কারিগরি উন্নয়নে যুক্তরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে প্রথমেই যুক্তরাজ্যে পদার্পণ করলে তাকে ব্যাপক সম্মান দেয়ায় রাষ্ট্রপতি তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ব্রিটেনের জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, সেই থেকেই বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের একসাথে পথচলা শুরু এবং কালের পরিক্রমায় এই সম্পর্ক আজ দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি যুক্তরাজ্যের নতুন রাজাকে অভিনন্দন জানান। হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের অংশীদারিত্ব মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই অব্যাহত উন্নয়নে তার দেশ সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। হাই কমিশনার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বডুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

সচেতনতা গড়ে তুলুন নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে : রাষ্ট্রপতি : মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

টেলিভিশন চ্যানেল মালিক সমিতি (অ্যাটকো) এর ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিন। নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমকে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে না পারলে আমাদের সব অর্জন বৃথা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বিগত পাঁচ দশকের অধিককালে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই সময়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করার অনেক চেষ্টা চালিয়েছে। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে গণমাধ্যমের ব্যাপক উপস্থিতির উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

স্বাধীনতা বিরোধীচক্র যাতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে কোনভাবেই বিকৃত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, তিনি সে লক্ষ্যে গণমাধ্যমকে আরো তৎপর হওয়ার তাগিদ দেন।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম অবশ্যই সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবে। সাথে সাথে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রমকে তুলে ধরতে হবে।

দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, কেউ যাতে ছদ্মাবরণে ও চতুরতার সাথে আমাদের ইতিহাসকে বিকৃতি করতে না পারে সেজন্য এই টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, সামনে দ্বাদশ নির্বাচন। গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসীদের জন্য এটি একটি এসিড টেস্ট। তাই গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ ও জনগণের জন্য কারা অপরিহার্য এবং কোন ধারার জনপ্রতিনিধি আবশ্যক, তা ঠিক করতে এবং জনমত তৈরিতে গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং রাষ্ট্রপতির সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও অ্যাটকোর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী এবং ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ও অ্যাটকোর সহ-সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল চৌধুরী ১১-সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অ্যাটকো সভাপতি সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত