সুসংবাদ প্রতিদিন : পলাশের ড্রাগন চাষ
আয়ের পথ দেখাচ্ছে অন্যদেরও
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
কুমিল্লা জেলার একটি নিচু এলাকা তিতাস উপজেলা। সচারাচর এ এলাকার কৃষকরা জমিতে ধানের পাশাপাশি সবজি চাষ করে থাকেন কেউ কেউ। কিন্তু তাদের থেকে ব্যতিক্রম মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন পলাশ। শখের বসে চাষ করছেন ড্রাগন ফল। বর্তমানে তার ড্রাগন ফল চাষ আয়ের পথ দেখাচ্ছে অন্যদের। তার দেখাদেখি ড্রাগন ফল চাষ শুরু করেছেন অনেকেই। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে ড্রাগনের চাষ পদ্ধতি জেনে নিচ্ছেন তার কাছ থেকে। সরেজমিন পলাশের বাগান ঘুরে দেখা যায়, চারদিকে সবুজের সমারোহ। প্রায় ৫ ফুট উচ্চতার প্রতিটি কংক্রিটের খুঁটি পেঁচিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন ফলের গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলছে ৮ থেকে ১০টি করে কাঁচা, পাকা ও আধা-পাকা ড্রাগন ফল। বাগানে কর্মরত শ্রমিক জলিল বলেন, গত দুই বছর পূর্বে নিজের ৩০ শতাংশ জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন পলাশ। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমে ৫৫ টাকা করে ৬০০টি ড্রাগন ফল গাছের চারা এনে রোপণ করেন। রোপণের চার মাসেই গাছে ফল আসে। প্রথমবার প্রতিটি গাছে চার থেকে পাঁচটি ফল এলেও এ বছর দ্বিতীয় বারে প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ২০টি ফল আসছে। ওই একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে আম, পেঁপে ও লেবু গাছ। বর্তমানে প্রতিকেজি ড্রাগন ফল বাগান থেকে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, যা বাজার মূল্য রয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন পলাশ জানান, ইনশাআল্লাহ গত দুই বছরের মতো এ বছরও পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের চাহিদা পূরণ করেও কয়েক লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব। তাই চিন্তা করছি এ বছর ড্রাগন ফলের চাষ আরো বাড়াব। কারণ, বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদা অনেক এবং ফলটি বেশ রসালো ও সুস্বাদু। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন জানান, সব ধরনের মাটিতে ড্রাগন চাষ হয়। তবে উঁচু জমিতে ভালো ফলন পাওয়া যায়। বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস চাষিদের উৎসাহিত করেছে। তিন মিটার পর পর গর্ত করে চারা রোপণ করতে হয়। বছরের যে কোনো সময় চারা রোপণ করা যায়। তবে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলে ভালো।