দশ মাসেও আলোর মুখ দেখেনি জবির ডিজিটাল হাজিরা প্রকল্প
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আহনাফ ফাইয়াজ, জবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ডিজিটাল হাজিরার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন লাগানোর সিদ্ধান্তের ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও তা আলোর মুখ দেখেনি। গত বছরের ৩০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক নোটিশের মাধ্যমে আইটি সেলকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তবে এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে এমন একটি সিদ্ধান্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন একটু কষ্টসাধ্য। ওই সময় নোটিশে বলা হয়েছিল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদ, ইনস্টিটিউট, বিভাগ ও দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সময়মতো অফিসে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট হাজিরার প্রয়োজন। আগামী সাত দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।
গত বছর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জবিতে দেরিতে ঘুম ভাঙে কর্মকর্তাদের!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে অফিস টাইম ৮টা থেকে শুরু হলেও কেউ সকাল ১০টায়, কেউ ১১টায়, কেউ বা তার পরও আসেন বলে অভিযোগ উঠে। এছাড়া বিকাল ৪টার আগেই অনেকে অফিস ছেড়ে চলে যান। এরপর নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাই সবার নির্ধারিত সময়ে হাজিরা নিশ্চিতে ফিংগার প্রিন্ট লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কিন্তু এ সিদ্ধান্ত কাগজে কলমেই রয়ে গেছে এখন পর্যন্ত। কোনো এক অদৃশ্য কারণে আইটি সেল আর এ প্রকল্পে হাতই দেয়নি। অনেকেই মনে করছেন কর্মকর্তাদের চাপে এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে, বিভাগগুলোতে গিয়ে দেখা যায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঠিক সময়ে অফিসে আসেন না, নির্দিষ্ট সময়ের আগে অফিস কক্ষ ত্যাগ করেন। এর ফলে দাপ্তরিক কাজকর্মের গতিও ধীরে চলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, বেশিরভাগ অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সময়মতো অফিসে আসেন না। ডিজিটাল হাজিরার সিদ্ধান্তটি প্রশংসনীয় ছিল। কিন্তু প্রায় এক বছর হয়ে যাচ্ছে এখনো এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দাপ্তরিক কাজকর্মে গতিশীলতা আসবে বলে মনে হয়।
এদিকে আইটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার বলেন, আমি এ বিষয়ে একদমই কিছু বলতে চাই না। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলুন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, আসলে একটা পাবলিক প্রতিষ্ঠানে এমন একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন একটু কঠিন। তবে বিষয়টি দেখার জন্য উপাচার্য কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। উপাচার্য দেশে এলে বিষয়টির আপডেট নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।