রোহিঙ্গাদের মোবাইল বিক্রয়ের সিন্ডিকেটের প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৫
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
বিশেষ সফটওয়্যার দিয়ে মোবাইল সেটের আইএমআইএ (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) পরিবর্তন করে ফেলা যায়। চোরাই ও ছিনতাই করা মোবাইল সেটের আইএমআইএ নম্বর পরিবর্তন করে পুনরায় বিক্রি এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ফ্ল্যাশ ডিভাইস ব্যবহার করে যেকোনও মোবাইল আনলক করে, অপরাধী চক্রের কাছে তুলে দিত তারা।
গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১৫-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী (পরিচালক ল’ অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী।
এর আগে বুধবার অভিযান চালিয়ে ৫৫টি চোরাই মোবাইল, আইএমইএই পরিবর্তনের ১১টি ডিভাইস, ৪টি ল্যাপটপ, ১টি মনিটর, ১টি পিসি ও অবৈধ মোবাইল বিক্রির নগদ ২৬ হাজার ৫০০ টাকাসহ আইএমআইএ পরিবর্তন করে বিভিন্ন অপরাধী এবং রোহিঙ্গাদের কাছে বিক্রয়ের সিন্ডিকেটের প্রধান দলনেতা মোর্শেদসহ তাদের চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৫।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সিন্ডিকেটের প্রধান পেকুয়ার হাজীরঘোনা এলাকার আলমগীরের পুত্র মো. মোর্শেদ (২৯), চকরিয়ার বিএমচরের মৃত জালাল উদ্দিনের পুত্র মিজবা উদ্দীন (২৪), চকরিয়ার প্রহরচান্দা এলাকার মৃত আবদুল হামিদের পুত্র আমিনুল ইসলাম (২৬) ও মনিরুল ইসলাম (২০) চকরিয়ার ফুলতলা এলাকার মৃত আবদুর রহিমের পুত্র শহীদুল ইসলাম (২৯)।
মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, র্যাবের চৌকস আভিযানিক দল চকরিয়া শপিং কমপ্লেক্সের নিচ তলায় একটি মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে অভিযান পরিচালনা করে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে চোরাই মোবাইল বিক্রেতা মিজবা উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রংধনু সেল কেয়ার ও সফটওয়্যার ভিলেজ নামক মোবাইল দোকানে অভিযান পরিচালনা করে চোরাই মোবাইল ও সরঞ্জামসহ বাকি ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, তারা পরস্পরের যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং বিভিন্ন মাধ্যম থেকে চোরাইকৃত মোবাইল সেট কম দামে ক্রয় করে আইএমইএই পরিবর্তনের পর পুনরায় তা বিভিন্ন অপরাধী, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সংগঠন বা চক্রের সদস্যসহ রোহিঙ্গাদের কাছে বিক্রয় করে থাকে বলে স্বীকার করেছে। উদ্ধারকৃত আলামতসহ ধৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।