বজ্রপাত শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমে উদ্ভব হয় কিউমুলোনিম্বাস মেঘের। আর এ কারণে বাড়ে বজ্রপাত। বজ্রপাত থেকে বাঁচতে কিছু সতর্কতা থাকা খুবই জরুরি। ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে আবহাওয়া অফিস প্রাথমিক পূর্বাভাস দিয়ে থাকে। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে বুঝেশুনে বের হতে হবে। বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য যে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
চলুন জেনে নেওয়া যাক- সাধারণত বজ্রপাত উঁচু কোনো স্থানে হয়। তাই বৃষ্টির সময় উঁচু গাছ, টাওয়ার এবং বিদ্যুতের খুঁটির কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এসময় ট্রান্সফরমার থেকেও দূরে থাকুন। আকাশে মেঘ থাকলে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে জানলে বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন। রাস্তায় বের হওয়ার পর এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। নিরাপদ আশ্রয় না পাওয়া গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাহাড়, পর্বত বা উঁচু এলাকা থেকে নেমে যেতে হবে। যদি মাঠে কাজ করেন সেক্ষেত্রে দ্রুত বাড়ি ফিরে যান। সেই সুযোগ না থাকলে মাঠে শরীর গোল করে গুটিয়ে বসে পড়ুন। পায়ের আঙুলগুলো যেন মাটি স্পর্শ করে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। অনেকে মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়েন। এমনটা কোনোভাবেই করা যাবে না। বজ্রপাতের সময় এক জায়গায় অনেকে জড়ো হন। এমনটা করা যাবে না। পরস্পরের থেকে দূরে থাকতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে পুকুর, হ্রদ, সুইমিং পুল, সমুদ্রসৈকতের মতো জায়গা। অবস্থান নিতে হবে নিরাপদ কোনো স্থানে। বাড়ির ভেতরে বজ্রপাত হলে পানির কল ইত্যাদির মাধ্যমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বজ্রপাতের সময় গোসল এবং হাঁড়ি-পাতিল ধোয়ার কাজ এড়িয়ে চলাই ভালো। এসময় ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, বিদ্যুতের সঙ্গে সংযুক্ত অন্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। সেইসঙ্গে স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ডিভাইসও ব্যবহার করবেন না।
