আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার আবার ‘নির্বাচন নির্বাচন খেলা’ শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল শুক্রবার বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক শ্রমিক-কর্মচারী সমাবেশে তিনি এই অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে মানুষের ভোট দেয়ার অধিকার নেই। ২০১৪ সালে আমরা ভোট দিতে পারিনি, ২০১৮ সালে আমরা ভোট দিতে পারিনি। এখন আবার নির্বাচন আসছে, সেই নির্বাচন নিয়ে আবার নির্বাচন নির্বাচন খেলা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
তিনি বলেন, আমাদের প্রয়োজন একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আজকে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, কোনো নির্বাচন এদেশে হবে না, যদি তত্ত্বাবধায়ক নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হয়। এজন্য এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ স্লোগান ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার যারা জোর করে ১৪ বছর ক্ষমতা দখল করে আছে তারা অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে সচেতনভাবে সাধারণ মানুষের সমস্ত অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। আজকে শ্রমিক ভাইয়েরা আপনারা এখানে সমবেত হয়েছেন, আপনাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, শ্রমিকদের কাজের কোনো সংস্থান নেই। অথচ আওয়ামী লীগের সরকারে যারা আছে, তাদের সঙ্গে যারা আছে তারা অন্যায় অর্থ উপার্জন করে, লুটতরাজ করে এদেশ থেকে টাকা পাচার করে দিচ্ছে।
শ্রমিকদের ন্যয্য মজুরি নিশ্চিত করাসহ একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি যে আন্দোলন শুরু করেছে তাকে চূড়ান্ত পর্যায় নিয়ে যেতে শ্রমিক-কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
নয়া পলটনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে ‘দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি ও ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে’ এ শ্রমিক-কর্মচারী সমাবেশ ও মিছিল হয়। নয়া পল্টনে থেকে মিছিলটি মগবাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে বিএনপির মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আবদুস সালাম আজাদ, কামরুজ্জামান রতন, আমিনুল হক, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ শ্রমিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।