কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময় মধ্যখানে বাকি মাত্র দুই দিন। আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। ১২ ওয়ার্ডের ৪৩টি কেন্দ্রে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণে সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে প্রশাসন। কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের দেয়া সর্বশেষ তথ্য বলছে, ১২টি ওয়ার্ডের ৯৪ হাজার ৮১১ জন ভোটার রয়েছে। যেখানে পুরুষ ভোটার ৪৯ হাজার ৮৮৫ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৪৪ হাজার ৯২৬ জন। ৪৩টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে চলবে ভোটগ্রহণ। কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, একটি শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ। এবারের নির্বাচনে ৫ জন মেয়রপ্রার্থীসহ ৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৪৩টি কেন্দ্রে ২৪৫টি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। যেখানে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ৪ শতাধিক কর্মকর্তা ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রকে সমান ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রেখে গ্রহণ করা হয়েছে সার্বিক প্রস্তুতি। প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। গতকাল পর্যন্ত ভোট গ্রহণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতজন সদস্য মোতায়েন থাকবে তা নিশ্চিত করে বলেননি এসএম শাহাদাত হোসেন। তবে তিনি জানান, ভোট গ্রহণে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের পুলিশ, আনসার সার্বক্ষিণ অবস্থান করবেন। একই সঙ্গে পুলিশের টহল দল, বিজিবি, র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। মাঠে থাকবেন একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তবে এর সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে আগামীকাল। নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনকে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ, নিরপেক্ষ করতে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ মধ্যরাত থেকে বন্ধ হয়ে যাবে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। পৌর এলাকায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, আচরণবিধি রক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষায় নির্বাচন কমিশনের নিদের্শনা মতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন শতভাগ নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে। নির্বাচনের আচরণবিধি রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ এবং কঠোরভাবে কাজ করা হচ্ছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা পৌর এলাকায় ঘুরে ঘুরে কোথাও আচরণবিধি লংঘন হচ্ছে কিনা তা দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এরই মধ্যে মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থীদের সতর্ক করার পাশাপাশি আদায় করা হয়েছে ১০ লাখ টাকার বেশি জরিমানা। এসব অভিযানে নির্বাচনি অবৈধ কার্যালয় বন্ধ ও পোস্টার অপসারণও করা হয়েছে। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের নিদের্শনা মতে ভোট গ্রহণের দিন দায়িত্ব পালনের জন্য ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রস্তুত রয়েছে। যেভাবে নিদের্শনা দেবেন সেইভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবেন জেলা প্রশাসন। এডিএম জানান, কক্সবাজার পৌর নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশের যারা করা প্রয়োজন তার সবই করছে এবং করবে। নির্বাচন কমিশনের দেয়া সব নিদের্শনা যথাযথভাবে পালন করছে পুলিশ।