অন্যরকম
‘বালিশ আম’ এর ওজন ৫ কেজি
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
অতি সুপরিচিত একটি ফল আম। কিন্তু যদি শুনেন একেকটি আমের ওজন তিন থেকে প্রায় পাঁচ কেজি। তাহলে কি অবাক হবেন? হ্যাঁ, অবাক হবারই কথা। এমনই এক আমের খোজ পাওয়া গেছে। দেখতে বালিশের মতো হওয়ায় দর্শনার্থীরাও আমটির নাম দিয়েছেন ‘বালিশ আম’। আমটি আকার-আকৃতিতে যেমন বড় তেমনি খেতেও সুস্বাদু। দেশের ‘সর্ববৃহৎ’ এ আমের নাম ‘ব্রুনাই কিং’। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্রুনাইয়ের রাজকীয় বাগানের এ আমটি দেশে এসেছে মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী গ্রামের নার্সারি মালিক আতিয়ার রহমানের ভাগনের হাত ধরে। চার বছর আগে যশোরের খয়েরতলা হর্টিকালচার সেন্টারে পরীক্ষামূলকভাবে রোপণ করা একটি আমগাছে এখন সবুজ পাতার মাঝে শোভা পাচ্ছে বৃহৎ আকৃতির এ আম। চার বছর আগে আতিয়ার রহমানের কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে যশোরের হর্টিকালচার সেন্টারে একটি গাছ রোপণ করা হয়। যশোরের হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক দীপঙ্কর দাস জানান, চার বছর আগে ‘ব্রুনাই কিং’ জাতের এই আমগাছের চারাটি রোপণ করা হয়। প্রথমে পরিচর্যাগত সমস্যার কারণে ফল পাওয়া যায়নি। তবে এ বছর গাছটিতে ৩৫টি আম ধরেছে। গাছের সবচেয়ে বড় আমটির ওজন প্রায় পাঁচ কেজি, যেটি দেশের সবচেয়ে ‘বড়’ আম। অন্যান্য আমের মতোই একই সময়ে এই গাছের মুকুল আসে। তবে পাকে অনেক দেরিতে এবং এর স্বাদ ফজলি আমের মতো। চাষি পর্যায়ে এই আম প্রসারে কলম তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মচারী মোহাম্মদ ওলিয়র বলেন, আমগাছটি রোপণের পর থেকে আমরা কৃষিবিদদের পরামর্শ মতো পরিচর্যা করে এসেছি। এ বছর ফল ধরেছে। আমটি দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে অনেক লোক আমগাছটি দেখতে আসছেন। অনেকে আবার দেখতে এসে গাছের কলম নিয়ে বাড়িতে কিংবা জমিতে রোপণ করছেন। বাগেরহাট থেকে আসা হেলাল উদ্দিন নামের এক দর্শনার্থী বলেন, আমি সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর বাড়িতে নানা রকম ফলের চারা রোপণ করছি। আজ এখানে কিছু ফল গাছের চারা নিতে এসে এই বড় জাতের আমগাছটি দেখে অবাক হয়েছি। আমিও এর কলম নিয়ে বাড়িতে রোপণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চাষি পর্যায়ে ব্রুনাই কিং জাতের আম প্রসারে কলম তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে শৌখিন আমচাষিরা এ গাছ রোপণ করতে পারেন, তবে বাণিজ্যিকভাবে রোপণের আগে পরীক্ষামূলকভাবে রোপণের পরামর্শ কৃষিবিদের।