ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সচেতনতাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করতে পারে

বললেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী
সচেতনতাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করতে পারে

ভূমিকম্প-সহনীয় পরিকল্পিত নগর গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, শহরে আমাদের উন্মুক্ত ও সবুজ স্থান লাগবে, জলাধার ও স্কুল-কলেজ লাগবে। ২০২২ সালের ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প-সহনীয় স্থাপনা তৈরির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধে আমাদের এ নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সিনেট হলে ‘১৮৯৭ সালের ১২ জুন ভারতীয় উপমহাদেশের মহাভূমিকম্প স্মরণে ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরসনে প্রস্তুতি এবং সতর্কতা’ বিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়ার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা ও কমিউনিটি ক্লিনিকসহ গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে অবিরাম কাজ করে চলেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এর ফলে শহরের ওপর চাপ কমবে এবং মানুষ নিজের এলাকায় থাকতে উৎসাহিত হবেন। সাম্প্রতিক লোডশেডিং বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং শিল্পায়নের ফলে বাসাবাড়ি থেকে কলকারখানায় বিদ্যুতের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল উপকরণ জ্বালানি তেলের আকাশছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আমাদের সাময়িক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অতীতের অনেক সমস্যার মতো এবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিদ্যুৎ সমস্যাও কাটিয়ে উঠব। অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকা শহরে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৭২ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হবে এবং দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা যাবে। সুতরাং ভূমিকম্পের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার বিকল্প নেই এবং ভূমিকম্পের সময় করণীয় বিষয়ে সবাইকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ডা. এনামুর বলেন, বাংলাদেশকে ভূমিকম্প-সহনীয় দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার রয়েছে সরকারের। যেসব স্থাপনা ভূমিকম্প-সহনীয় করে গড়ে তোলা হয়নি সেগুলো সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নির্ধারিত মানদ- যথাযথভাবে অনুসরণ করে নতুনভাবে তৈরি করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়ায় আঘাত হানা বড় ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ উপস্থাপন করে বলেন, ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশও ভূমিকম্পপ্রবণ ভৌগোলিক সীমারেখায় অবস্থিত। তবে এই অঞ্চলে বড় ভূমিকম্প দীর্ঘবিরতি নিয়ে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সেমিনারের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটি এবং ক্লাইমেট ও ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে ‘ছোট ছোট ভূমিকম্পের ঘটনা বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বাড়ায়’ শীর্ষক বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করে আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত