বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পূর্বশর্ত নিরপেক্ষ সরকার। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে হবে। দাবি না মানলে রাজপথ উত্তপ্ত হবে।
গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দীর্ঘ এক দশক পর রাজধানীতে পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এ ধরনের সমাবেশ করল জামায়াত। ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতা ও ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে’ এ সমাবেশ করে দলটি। এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কিছু মৌখিক শর্তে জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
গতকাল দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হলেও সকাল থেকেই সমাবেশ স্থলে জড়ো থাকেন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাইরের খোলা জায়গা এবং ফুটপাতে অসংখ্য নেতাকর্মী জড়ো হন। একপর্যায়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি মূল সড়কে গিয়ে ঠেকে। এতে মৎস্য ভবন ক্রসিং থেকে শাহবাগ অভিমুখী সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা এ সময় নানা স্লোগান দেন। সমাবেশ ঘিরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করে জনগণের দাবি মেনে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান নির্বাচন। সেটা হতে হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। সেটা করতে হলে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে করতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ।