চট্টগ্রামে বৃষ্টিতে স্বস্তি

নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা

প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে গতকাল দিনভর বৃষ্টির পর স্বস্তি ফিরেছে নগরবাসীর মধ্যে। তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে বেশ কমে যায়। তবে বৃষ্টির কারণে নিচু এলাকায় জমে গেছে পানি। উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টির দেখা পাচ্ছে নগরবাসী। গত শুক্রবার থেকে থেমে থেমে কখনো ভারি, আবার কখনো মাঝারি বৃষ্টি অব্যাহত ছিল গতকাল পর্যন্ত।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২২ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিস্তার লাভ করতে পারে। এর ফলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। এ প্রবণতা আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।

গত সপ্তাহের তীব্র গরমের পর এই বৃষ্টি নগরজীবনে স্বস্তি দিয়েছে। অন্যদিকে গত দুই দিনের বৃষ্টিতে নগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। বর্জ্যে ভর্তি খাল-নালা দিয়ে পানি নামতে পারছে না। বৃষ্টিতে নগরের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা, ওয়াসা মোড়, কাতালগঞ্জ, ষোলশহর, চকবাজার, বাকলিয়া, শুলকবহর, কাপাসগোলা ও পাঠানটুলিসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি জমে যাচ্ছে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। প্রকল্পটির সিংহভাগ বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি এক সভায় প্রকল্পের কাজ ৭৬ দশমিক ২৫ শতাংশ শেষ হওয়ার দাবি করেছে সংস্থাটি।

চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম জানান, প্রকল্পের বাইরে নালাগুলো পরিষ্কারের কাজ চলছে। ৪১টি ওয়ার্ডজুড়ে কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ভাড়ায় জনবল নিয়োগ করে নালা ও ছোট নালা থেকে মাটি তোলা হচ্ছে। চলতি মাসের শেষ দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে। এজন্য ওয়ার্ডগুলোতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রকৌশল বিভাগের অধীনে টেন্ডারের মাধ্যমে খাল-নালা পরিষ্কারের কাজ চলছে। একইসাথে ছয়টি স্কাভেটর একযোগে নালা পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।