অপব্যবহার রোধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে সংশোধনী আনা হচ্ছে

বললেন আইনমন্ত্রী

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে হয়রানি ও এই আইনের অপব্যবহার বন্ধে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। গতকাল ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনকালীন সরকার, ই-জুডিয়ারি, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন। আইনমন্ত্রী বলেন, সাইবার ক্রাইম বন্ধে পৃথিবীর বহু দেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি সংক্রান্ত আইন রয়েছে। জাতিসংঘের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এটি নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। তারাও আইনটি বিদ্যমান রাখার কথা বলেছেন। তবে কিছু সংশোধনীর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এখন এ আইনে মামলা হলেই যেন কাউকে গ্রেপ্তার করা না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, একটি সেল গঠন করা হয়েছে। মামলা হলে, আগে সেখানে এটি পরীক্ষা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি বিষয়ে তিনি পিটার হাসকে জানিয়েছেন, এটি অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক। সেটা যার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হোক। যদি বিরোধীদলের বিরুদ্ধেও এ ব্যবস্থা নেয়া হয়, সে ক্ষেত্রেও তিনি বলবেন, এটি অপমানজনক। আনিসুল হক বলেন, তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, এই ভিসানীতি যদি যুক্তিসংগতভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তাদের কোনো বক্তব্য নেই। আর যদি ইচ্ছামতো একটি দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার হয়, তাহলে তাদের আপত্তি আছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই ওই দুটি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণ ভোট দিতে কেন্দ্রে গিয়েছেন। খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সংবিধানের ৬৬ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলা আছে যে, যদি কোনো ব্যক্তি নৈতিক স্খলনের কারণে দুই বছরের বেশি সময়ের জন্য দণ্ডিত হন, তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আর তিনি যদি কোনো রাজনৈতিক সভায় যোগ দেন, তাহলে প্রমাণিত হবে, তিনি সুস্থ। অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। পাশাপাশি পলাতক তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তিনিও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আইন, বিচার, সংসদ ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এলআরএফের সভাপতি আশুতোষ সরকারের সভাপতিত্বে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এলআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সহ-সভাপতি দিদারুল আলম দিদার, যুগ্ম সম্পাদক ফজলুল হক মৃধা, অর্থ সম্পাদক আব্দুল জাব্বার খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত মুন্না, দপ্তর সম্পাদক এসএম নূর মোহাম্মদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদ হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য মাহমুদুল আলম প্রমুখ।