কক্সবাজারের চকরিয়া ডুলাহাজারা মালুমঘাট পিকআপ চাপায় ৬ ভাই মৃত্যুর ঘটনাটি চালক স্বেচ্ছায় ও স্বজ্ঞানে করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে আদালত পিকআপচালক সাহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুলের আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।
গতকাল কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
দণ্ডিত সাহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুল বান্দরবানের লামা ফাঁসিয়াখালীর সাপেরপাড়া এলাকার আলী জাফরের ছেলে। মামলার নথির বরাত দিয়ে পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি ভোরে পিতার ক্ষৌরকর্ম অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি করতে গিয়ে চকরিয়া মালুমঘাট বাজারের নার্সারি গেটের সামনে সাত ভাই ও দুই বোন রাস্তার পাশে দাঁড়ালে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি পিকআপ তাদের চাপা দেয়। এতে সাত ভাই- ডা. অনুপম সুশীল, নিরুপম সুশীল, দীপক সুশীল, চম্পক সুশীল, স্মরণ সুশীল গুরুতর জখম হয়। এ সময় তারা চিৎকার করলে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য চালক গাড়ি পেছনে নিয়ে পুনরায় অপর ভাই রক্তিম সুশীলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ ভাই নিহত হন।’ পিপি ফরিদুল বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতদের ভাই প্লাবন সুশীল ৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলা দায়ের করলে চালক সাহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুলকে আইনের আওতায় এনে ৩০২ ধারা মতে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় প্রদানকালে বিচারক বলেছেন, চালক দ্রুতগামী পিকআপ চাপায় কয়েকজন আহত হলেও গাড়ি থামিয়ে পেছনে এসে আবার আহতদের চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। যা স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে করেছে চালক।