জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ক্লাসরুমের পাশে বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করছেন এক কর্মচারী। এর ফলে কবুতরের ঘরের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে ক্লাসরুমের পরিবেশ নষ্ট এবং শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দুর্গন্ধের জন্য ক্লাসরুমের জানালা খোলা যায় না। এদিকে এর আগে গণিত বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে অভিযোগ করলেও বর্তমান চেয়ারম্যান এ সম্পর্কে অবগত নন।
জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর ধরে এখানে বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলাম। রেজিস্ট্রার দপ্তরের এ কর্মচারীর খামারে কবুতর রাখার মতো খাঁচা রয়েছে ৩১টি এবং পাঁচটি খাঁচার সমান কাঠের কবুতর ঘর রয়েছে দুইটি। কবুতর ঘর দেখার সময় খাঁচাগুলোতে ৫০-৬০টি এবং মুক্ত অবস্থায় ক্লাসরুমের জানালা ও ছাদের উপর আরো কিছু কবুতর বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় ক্লাসরুমের জানালা, দেয়াল ও কবুতর ঘরের নিচে বিষ্ঠা পড়ে থাকে। গণিত বিভাগের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ক্লাসরুমের পাশে তো আর পশু-পাখি পালন করা যায় না। কবুতরের বিষ্ঠার গন্ধের কারণে অনেক সময়ই ২২২ নম্বর রুমের পেছনের জানালা বন্ধ রাখতে হয়। গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল আলম বলেন, এ বিষয়টি সম্পর্কে তো আমি অবগত নই। কবুতর যিনি পালন করেন তাকে আমি ডেকে জিজ্ঞেস করব এবং কবুতরের খামার সরিয়ে নিতে বলব।
এ বিষয়ে কবুতর পালনকারী শরিফুল ইসলাম বলেন, এখন আস্তে আস্তে কবুতরগুলো বিক্রি করে দিচ্ছি। আসলে এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছি, এ সময় কবুতরের দেখভাল করা সম্ভব হচ্ছে না। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও আমাকে এসব সরিয়ে নিতে কিছু বলেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি কর্মকর্তাকে বলে দিয়েছি ব্যবস্থা নিতে। কারো কোনো সমস্যা হলে এসব তো পালন করা যাবে না।