এআইবিএস ফেলোশিপ পেয়েছে ঢাবি শিক্ষকসহ আট বাংলাদেশি
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি
পেশাগত উন্নয়ন এবং বাংলাদেশ বিষয়ক গবেষণার জন্য ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ফেলোশিপ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (এআইবিএস)। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও সাত বাংলাদেশি আমেরিকান এ ফেলোশিপ অর্জন করেছেন। গত রোববার এআইবিএস’র সভাপতি ও ইলিনিয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিঙ্গুইশড অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ ও প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা অফিসের সিনিয়র উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এআইবিএস প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট ফেলোশিপ পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের নাম অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক হাসান। তিনি নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। এছাড়া, আমেরিকায় অধ্যনরত সাত বাংলাদেশি পিএইচডি গবেষক ও স্নাতক ফেলোশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় আরবানা-শ্যাম্পেনের সাদিয়া আশরাফি; ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের সামিরা বাশার ও রোবায়েত খন্দকার, মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির পারভেজ রহমান, ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন-মিলওয়াকির মানিয়া তাহের, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সালওয়া হক, ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি ব্লুমিংটনের শরীফ ওয়াহাব। এআইবিএস’র প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আমরা এআইবিএস গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট ফেলোশিপের জন্য অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আবেদন পেয়েছি দেখে অত্যন্ত আনন্দিত। এটি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ বিষয়ক গবেষণা নিয়ে আগ্রহ বৃদ্ধির প্রতিফলন। অধ্যাপক রীয়াজ আশা করেন যে, আগামী বছরগুলোতে এআইবিএস ফেলোশিপ কর্মসূচির আওতা আরও বাড়াতে সক্ষম হবে। এআইবিএস বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাডেমিয়ার পারস্পরিক যোগাযোগ এবং বোঝাপড়ার বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি কনসোর্টিয়াম। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করার একমাত্র সমন্বয়ক সংস্থা। বর্তমানে, ২৮টি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় এআইবিএস’র সদস্য। এছাড়া ২৫টি বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য এআইবিএস বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এআইবিএস আমেরিকান ওভারসিজ রিসার্চ সেন্টার্স কাউন্সিলের সদস্য।