সিরাজগঞ্জে এবার চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে কাউন চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে এ কাউন কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার চরাঞ্চলে কাউন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমি। তবে কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে কাউন চাষাবাদ হয়েছে। যমুনা নদীর তীরবর্তী কাজিপুর, চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনার বুকে জেগে ওঠা চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা লাভজনক এ কাউন চাষাবাদ করেছে। এরমধ্যে কাজিপুরের চরাঞ্চলের খাসরাজবাড়ী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, মনসুর নগর, তেকানী, নাটুয়ারপাড়া, মাইজবাড়ী, শুভগাছা ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার কাওয়াকোলা, মেছাড়া চরাঞ্চলের এ কাউন চাষাবাদ বেশি হয়েছে। গত মাসের শেষ দিক থেকে কৃষকরা এ কাউন কাটা ও মাড়াই শুরু করেছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, প্রায় বিলুপ্ত কাউন ফসল আবারো নতুনভাবে চাষ করা হচ্ছে এবং লোকসানের কারণে এ চাষ এক সময় প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান সরকার কৃষকের চাষাবাদে সার বীজসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এ কারণে চরাঞ্চলের বর্তমানে বারি কাউন-২ জাতের চাষ করা হচ্ছে। প্রতি বিঘা জমিতে ১০-১২ মণ কাউন পাওয়া যায়। এ কাউন বাজারে সাড়ে ১৫০০ থেকে সাড়ে ১৬০০ টাকা প্রতিমণ বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এ মৌসুমে চরাঞ্চলে নানা কারণে ধানের আবাদ ভালো না হলেও কৃষকরা চরাঞ্চলে কাউন চাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ কাউন চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ চাষে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।