স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক থেকে রক্ষার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছেন। তার ঘোষণা বাস্তবায়নকল্পে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরসহ সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানান, ২০২২ সালে ১ লাখ ৩২১টি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ জন অবৈধ মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৩৩ হাজার ১৮৬টি মামলায় ৪১ হাজার ৯৮ জন অবৈধ মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
গতকাল জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০-কে যুগোপযোগী করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়, পরবর্তীতে ২০২০ সালে উক্ত আইনটি সংশোধন করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) প্রণয়ন করা হয়। এ আইনে মাদক অপরাধের সর্বোচ্চ শান্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তাছাড়া মাদক ব্যবসার মূল হোতা ও গডফাদারদের যথাযথ শাস্তি বিধান করে এ আইনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের বিধানটি সংযুক্ত করা হয়। শুধু মাদক কারবারিই নয়, এ আইনে মাদক অপরাধের পৃষ্ঠপোষক, প্ররোচনাদানকারী ও সহযোগীদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এ আইনের যথাযথ প্রয়োগে সর্বমহল সোচ্চার হলে সমাজে মাদক অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হবে। ভবিষ্যতেও বাস্তবতার নিরিখে আইনটি সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।