তরুণ সমাজকে ই-সিগারেট ও তামাকের করাল থাবা থেকে রক্ষা করতে হলে সংশোধিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছেন আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সব ধরনের তামাকসহ ই-সিগারেটমুক্ত ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফজলী ইলাহী। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেল্থ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং আয়োজিত তামাকবিরোধী ক্যাম্পেইনে এমন দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। তরুণরা তাদের বক্তব্যে জানায়, বিশ্বে সর্বোচ্চ তামাক ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম প্রথম সারির দিকে। দেশের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে কিশোর বয়সি ধূমপায়ীদের শতকরা ৯০ শতাংশ মাত্র ১৩ বছর বয়সে এ ক্ষতিকর দ্রব্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। গ্লোবাল ইয়ুথ টোব্যাকো সার্ভে অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৩-১৫ বছর বয়সি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ৬.৯ শতাংশ তামাক সেবন করে, যার মধ্যে ৩ শতাংশ তামাক সেবনকারী। কিন্তু সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুল প্রভৃতি তামাকজাত দ্রব্য সহজলভ্য হওয়ায় এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি, সম্প্রতি তরুণদের মাঝে ই-সিগারেট ব্যবহারের প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। জাপানে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ই-সিগারেট সাধারণ সিগারেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি ক্ষতিকর। এ সময় শিক্ষার্থীরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণে পাবলিক প্লেসে স্মোকিং জোন বাতিল, তরুদের রক্ষায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধকরণ, তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী বন্ধ ও বিড়ি-সিগারেটের খুচরা বিক্রয় নিষিদ্ধের পক্ষে বিভিন্ন ফেস্টুন নিয়ে ক্যাম্পেইনে অংশ নেয়। সেই সঙ্গে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালীকরণে আইনের খসড়া দ্রুত পাস করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান।