আসন্ন ঈদুল আজহা ঘিরে রাজধানীর আফতাবনগরে কোরবানির পশুর হাট না বসানোর বিষয়ে ইজারার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে আফতাবনগরে পশুর হাট বসাতে আইনগত কোনো বাধা থাকল না। গতকাল সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। গত ২২ মে আফতাবনগরে পশুর হাট না বসানোর বিষয়ে দেয়া ইজারার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃক বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাবনগর ব্লক ‘বি’ থেকে ‘এইচ’ পর্যন্ত খালি জায়গা ইজারা দেয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এর আগে পরিবেশ সংরক্ষণের দাবিতে গত ১৫ মে আফতাবনগরে গরুর হাট না বসানোর নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান ভূমি কর্মকর্তা, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ইস্টার্ন হাউজিং ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে বিবাদী করা হয়। ওই রিটের আগে সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে বাসিন্দাদের পক্ষে শেখ মাহমুদ উজ্জ্বল আবেদন করেন। এতে বলা হয়, জহিরুল ইসলাম সিটিতে (আফতাবনগর) বসবাসরত লোকজন ঈদুল আজহার আগে ও পরে প্রায় এক মাস অস্থায়ী হাট বসানোর কারণে ব্যাপকভাবে মানবেতর জীবনযাপন করেন। যেহেতু চলাচলের প্রধান সড়কের ওপর অস্থায়ী গরু-ছাগলের হাট বসে বলে (আফতাবনগর) এখানে বসবাসরত নাগরিকদের যাতায়াতে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ সময় কোনো লোক অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কেউ মারা গেলেও তার মরদেহ বহন করা দুরূহ হয়ে পড়ে। এছাড়া গরু-ছাগলের হাট বসানোর কারণে আবাসিক এলাকাটির বসবাসের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। গরু-ছাগলের নানাবিধ বর্জ্যে এলাকাটির পরিবেশ ব্যাপকভাবে দূষিত হয়। এছাড়া প্রধান সড়কটিও জহিরুল ইসলাম সিটি (আফতাবনগর) ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সারা বছরই প্রধান সড়কটিতে খানাখন্দ থাকায় আফতাবনগরে বসবাসরত নাগরিকদের যাতায়াতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়।