ঢাকা ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মে মাসে সড়ক, রেল ও নৌ দুর্ঘটনায় নিহত ৫২৭

মে মাসে সড়ক, রেল ও নৌ দুর্ঘটনায় নিহত ৫২৭

গত মে মাসে সারা দেশে ৪৯৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৮ জন নিহত এবং ৭৬৯ জন আহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ৫০টি দুর্ঘটনায় ৪৩ জন নিহত, ৭ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া এ সময় নৌপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, আটজন আহত এবং তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৫৬৪টি দুর্ঘটনায় ৫২৭ জন নিহত এবং ৭৭৯ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এই সময়ে ১৮৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৮১ জন নিহত, ১১৪ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৭.২৯ শতাংশ, নিহতের ৩৮.৬৭ শতাংশ ও আহতের ১৪.৮২ শতাংশ। মে মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। সেখানে ১২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১০ জন নিহত ও ১৫১ জন আহত হয়েছে। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে। সেখানে ২৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও ৬২ জন আহত হয়েছেন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে জানিয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও যাত্রীদের অসতর্কতা; দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল এবং বেপরোয়া গতি; ব্যাটারিচালিত ও ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন; অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো এবং রেলক্রসিংয়ে দায়িত্বরত ব্যক্তির গাফিলতি ও ফিডার রোড এবং আঞ্চলিক রোড থেকে হঠাৎ যানবাহন উঠে আসা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত