ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ছুটির দিনে বাজার দর

কমেছে তেল ও ব্রয়লারের দাম, বাড়তি দামে জিরা

কমেছে তেল ও ব্রয়লারের দাম, বাড়তি দামে জিরা

দীর্ঘদিন পর সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। আগের চেয়ে লিটারে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দামও গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগে দাম আবার বাড়তে পারে। আর কোরবানির ঈদ আসার আগে থেকেই বেড়ে চলেছে জিরার দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়।

গতকালের বাজারে ইলিশ মাছের কেজি ১৬০০-২০০০, রুই ৩৭০-৪৫০, কাতল ৫০০-৬০০, কালিবাউশ ৫০০, চিংড়ি ১০০০, কাঁচকি ৫০০, টেংরা ৬৫০, পাবদা ৫০০, শিং ৫০০ টাকা। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৭৭-১৮২, কক মুরগি ২৩০-২৫০, দেশি মুরগি ৬০০, গরুর মাংস ৭৭০-৭৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ২০৭-২১৫ টাকা, কক মুরগি ২৩০-২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। কজন মুরগি বিক্রেতা জানান, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। তবে ঈদের আগে আবার দাম বেড়ে যাওয়ার আশংকা আছে।

মুরগি কিনতে আসা একজন ক্রেতা জানান, ব্যবসায়ীদের কাজ একটাই, শুধু দাম বাড়াবে। ঈদের আগে নাকি আবার দাম বাড়বে। ঈদের কথা শুনলেই সব কিছুর দাম বেড়ে যায়।

মুদি দোকান ঘুরে জানা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ১০ টাকা কেজিতে। আগে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের (প্যাকেট) দাম ছিল ১৯৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ছিল ১৭৮ টাকা। দাম কমে তা হয়েছে লিটারপ্রতি প্যাকেট সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা আর খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ টাকা। সয়াবিন তেলের দাম কমলেও বেড়েছে জিরার দাম। খুচরা জিরার কেজি ৮৫০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০০ টাকা।

এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে আগের মতোই। মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, চিনি ১৩০ টাকা, আটা ১৩০ টাকা (২ কেজির প্যাকেটে), খোলা ময়দা ৬৩ টাকা, খোলা সরিষার তেল ২৫০ টাকা লিটার।

কাঁচাবাজারে সবজির দাম গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। বেগুনের কেজি ৭০-৮০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, করল্লা ৭০-৮০ টাকা, পেঁপে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, পটোল ৬০-৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৮০ টাকা, ধুন্দল ৭০-৯০ টাকা, সজনে ১২০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি। লাউ ৬০-৭০ টাকা পিস। এছাড়া আদা ৩০০ টাকা, দেশি রসুন ১৫০-১৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ১৬০-১৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা, আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত