গার্মেন্ট ছুটির পর গাজীপুর জেলার মাওনা থেকে হাইওয়ে মিনি পরিবহনের একটি বাসে করে ভালুকায় আসছিলেন শামছুন্নাহার (৩৫) নামের এক নারী শ্রমিক। পথে বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে গেলে ফাঁকা বাসে ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে বাসটির চালক ও হেল্পাররা। এ সময় ওই নারী কর্মী তাদের বাধা দিয়ে চিৎকার শুরু করলে চালক ও হেল্পাররা তাকে চলন্ত বাসের জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে পালিয়ে যায়। গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ভালুকা উপজেলার হবিবাড়ী ইউনিয়নের মায়ের মসজিদ এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। এতে ওই নারীর মাথায় মারাত্মক জখম হলে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ সময় ঘটনাটি টের পেয়ে তাৎক্ষনিক ভালুকা মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই বাসসহ জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন। আটককৃতরা হলেন- চালক মো. রাকিব মিয়া (২১), সুপারভাইজার আনন্দ দাস (১৯) ও হেল্পার মো. আরিফ মিয়া (২১)। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি। এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে ওই নারীকে দেখতে মমেক হাসপাতালে ছুটে যান ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাছুম আহম্মেদ ভূঞা। এ সময় তার সাথে ছিলেন জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ প্রমূখ। এ বিষয়ে এসপি মাছুম আহম্মেদ ভূঞা বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। খবর পেয়ে আমি ওই ভিকটিমকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তার সাথে কথা বলেছি। আমরা ভিকটিমের পরিবারের পাশে রয়েছি। এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।