ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রামে তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির হাতে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিরাপদ নয়

বিএনপির হাতে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিরাপদ নয়

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যাদের হাতে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিরাপদ নয়, তাদের হাতে কখনো দেশ নিরাপদ হতে পারে না। সেই বিএনপি আবার দেশ পরিচালনা করার কথা স্বপ্ন দেখে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জামালখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও মুক্তি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়াদের ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় এরইমধ্যে মামলা হয়েছে। ঘটনায় যারা জড়িত ছিল মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে যারা তাদের নেতা, যারা তরুণদের এ ধরনের নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে এবং এগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা দায় এড়াতে পারে না। তাদেরকেও অবশ্যই আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর জামালখান মোড়ে বিএনপি কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছবি ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন উপস্থিত ছিলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে, আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের ছবি ভাঙে, এখানে থাকা আমাদের মুক্তি আন্দোলনের পুরোধাদের ছবির প্রতি অবমাননা করে, সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করে ছবি ও ম্যুরাল ভাঙে তারা তো দেশটাই ভেঙে দেবে। তাদের হাতে তো কখনো দেশ নিরাপদ হতে পারে না। এরাই আবার দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখে। তিনি বলেন, বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশের কথা বলে এদিক দিয়ে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধুর সমস্ত ছবি এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া অন্যান্যদের ছবিও ভাঙচুর করেছে। এই দায় দলটির নেতারা কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের চিত্র ভেঙে দেয়ার পেছনে বিএনপির পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততা আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জামায়াত তো ওদের সহোদর ভাই, ওরাই তো বলে একই বৃন্তে দুটি ফুল, বিএনপি আর জামায়াত। এটা ওনাদের বক্তব্য। এই তারুণ্যের সমাবেশেও ছদ্মাবরণে জামায়াত-শিবিরও ছিল। তবে মূল দায়টা বিএনপি নেতাদের। ভেঙে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ ইতিহাস ঐতিহ্য সংবলিত ছবিগুলো আবার তৈরি করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন আমাকে জানিয়েছেন- তারা এগুলো আবার নতুনভাবে আগের মতো দৃষ্টিনন্দন করে তৈরি করবেন। প্রয়োজনে আরো সুন্দর করে এগুলো পুনঃস্থাপন করা হবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোথাও রাস্তার পাশে দেয়ালে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং আমাদের মুক্তি আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের এভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। চট্টগ্রামে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ আমাদের সংস্কৃতি এবং মুক্তি আন্দোলনের পুরোধা যারা ছিল তাদের ছবিগুলো যেভাবে রাস্তার পাশে এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে সেগুলো দেশের কোথাও নেই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত