দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বের দলীয় কোন্দলের জের ধরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই গ্রুপের ৪০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ২৩ জনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর থেকে ক্যাম্পাসে ও বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রিয়াদণ্ডসজল ও আকাশ গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই দলীয় কোন্দল চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার বিকালে ছাত্রলীগ নেতা আকাশের সঙ্গে রিয়াদ ও সজলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আকাশকে ক্যাম্পাস থেকে তারা বের করে দেন। পরে আকাশের সমর্থকরা ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। কয়েক দফার এ সংঘর্ষে প্রায় ৪০ জনের মতো আহত হয়। সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জিয়া হলে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। হামলায় আহতদের মধ্যে ২৩ জনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তারা হলেন- লাবিব হোসেন, টিমন ঘোষ, সাদিক, ইসমাইল, রায়হান, সৌমিক, সানি, মোর্শেদ, কামরুজ্জামান, সাজিব, সোহাগ, সাব্বির, শরিফ কবির, নাফিক, আশিক, রাসেল, ওয়াকিল, সালে আহম্মেদ, প্রিয়, আকাশ, শামসুল, নিয়ামুল ও রিপন। দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ জিন্নাহ আল মামুন বলেন, ক্যাম্পাসের আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা যাতে করে বাইরে ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়টি দেখছে পুলিশ। এছাড়াও ক্যাম্পাসের ভেতরেও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিষয়টি জানতে ছাত্রলীগ নেতা আকাশের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। আর অন্য গ্রুপের সদস্যরা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
