জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার মূলহোতা সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আরো ১২ জন আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত। ১৩ জন আসামির মধ্যে বাবু চেয়ারম্যানকে ৫ দিন, ৬ আসামিকে ৪ দিন এবং ৬ আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদের আদালত।
জানা যায়, সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদের মধ্যে গত শনিবার সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় বাবু চেয়ারম্যানের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে চেয়ারম্যান বাবু ও তার তিন সহযোগীকে আটক করে র্যাব। ওইদিন রাতে আসামিদের বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অপরদিকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে শনিবার তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ। গতকাল শুনানি শেষে ৯ জনের মধ্যে ৫ জনের তিন দিন ও ৪ জনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল প্রধান আসামি বাবু ও তার তিন সহযোগীকে আদালতে আনা হয়। পরে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন চেয়ারম্যান বাবু, রেজাউল করিম, মনিরুজ্জামান, জাকিরুল, কফিল উদ্দিন, ফজলু মিয়া, শহী, মকবুল, ওহিদুজ্জামান, গোলাম কিবরিয়া সুমন, মিলন, তোফাজ্জল ও আইনাল।
উল্লেখ্য, ১৪ জুন রাত ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পাটহাটী মোড়ে বাবু চেয়ারম্যান ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা সাংবাদিক নাদিমের উপর হামলা চালায়। হামলায় অজ্ঞান হয়ে পড়লে মৃত ভেবে তাকে ফেলে তারা পালিয়ে যায়। ১৫ জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নাদিম।
এ ঘটনায় শনিবার সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে বাবু চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে নামীয় ২২ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, সব আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বিষয়টি অবগত হয়েছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রাপ্ত রিমান্ডের কার্যক্রম শুরু হবে।
