ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আয়েশা আমিরুল ট্রাস্ট ফান্ড’ এবং ‘শহীদ শরাফ- মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ট্রাস্ট ফান্ড’ নামের পৃথক দুটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ট্রাস্ট ফান্ড গঠন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
‘আয়েশা আমিরুল ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠনের লক্ষ্যে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার ১০ লাখ টাকার একটি চেক এবং ‘শহীদ শরাফত মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠনের লক্ষ্যে শহীদ শরাফত আলী এবং মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র ভাই মো. আবু তাহের ১৫ লাখ টাকার একটি চেক গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদের কাছে হস্তান্তর করেন।
উপাচার্য দপ্তরে আয়োজিত পৃথক দুটি চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান অনুষদের তিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. একেএম মাহবুব হাসান, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারসহ বিভিন্ন বিভাগের ওয়ারপার্সন এবং দাতা পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
‘আয়েশা-আমিরুল ট্রাস্ট ফান্ড’ এর আয় থেকে প্রতিবছর জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। এছাড়া, ‘শহীদ শরাফত মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ট্রাস্ট ফান্ড’-এর আয় থেকে প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগ, ফলিত গণিত বিভাগ ও পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কয়েকজন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাস্ট ফান্ড দাতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত উপকৃত হবে। এই উদ্যোগ অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার তার পিতামাতার স্মৃতি রক্ষার্থে ‘আয়েশা আমিরুল ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করেন। এছাড়া, ‘শহীদ শরাফত মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন শিক্ষক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ অর্থ প্রদান করেছেন। ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক শহীদ শরাফত আলী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন।