দেশ ও জনগণের বৃহত্তর কল্যাণে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলাসহ প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও বিজিবি’র প্রতিটি সদস্য অবদান রাখবে বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান। গতকাল সকালে বিজিবি সদর দপ্তরে ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২৩’ এর উদ্বোধন শেষে তিনি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এ সময় মহাপরিচালক পিলখানার বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের পূর্ব পার্শ্বের মাঠে একটি বটবৃক্ষের চারা রোপণ করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ও প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়- কর্মসূচির শুরুতেই মহাপরিচালক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, জাতির পিতা বৃক্ষরোপণের প্রতি সবসময়ই গুরুত্বারোপ করতেন এবং নিজ হাতে বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি তার যত্ন নিতেন। এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক পরিবেশ বৈষম্য চলছে, যার ফলশ্রুতিতে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, শীতের প্রকোপ কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্রের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দেশের ১ ইঞ্চি জায়গাও যেন পতিত পড়ে না থাকে। এই নির্দেশনা প্রতিপালনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিজিবি মহাপরিচালক সদর দপ্তরসহ সারাদেশে বিজিবি’র সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও বিওপিতে কর্মরত প্রতিটি সদস্যকে তাদের স্থাপনার প্রতিটি খালি জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ, ভেষজ, ঔষধি ও অন্যান্য গাছের চারা রোপণ করে এ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান। একইসাথে তিনি অপ্রয়োজনীয়ভাবে গাছ না লাগিয়ে পরিকল্পনামাফিক গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন। শুধু কর্মস্থলে নয়, বিজিবি’র সকল সদস্যকে তাদের বাড়ির আঙ্গিনার পতিত ও খালি জায়গায় শাকসবজিসহ ফলমূল ও ঔষধি গাছ লাগানোর আহ্বান জানান। ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’- এবারের বৃক্ষরোপণ অভিযানের এই প্রতিপাদ্যকে তুলে ধরে বিজিবি মহাপরিচালক সঠিক স্থান ও সঠিক প্রজাতি নির্বাচন করে গাছ লাগিয়ে সেগুলোর সঠিক যত্ন ও পরিচর্যার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, গাছ বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে, বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন ছেড়ে দেয়, বায়ুদূষণ রোধ করে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই সুস্থ জীবন ও সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আমাদের অধিক পরিমাণে বৃক্ষ রোপণ করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২৩ এর আওতায় বিজিবি দপ্তরসহ সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও বিওপি পর্যায় সর্বমোট ১ লাখ বৃক্ষ রোপণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।