ঢাকা ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কোম্পানীগঞ্জে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ

থানায় মামলা
কোম্পানীগঞ্জে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে গৃহবধূ (১৮) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গত রোববার দুপুরের দিকে এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে ভুক্তভোগীর স্বামী মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে, গত বুধবার ১৪ জুন বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পর্যটন এলাকা মুছাপুর সুইচ গেটের পূর্ব পার্শ্বের বাগানে এই ঘটনা ঘটে। মামলার অভিযুক্তরা হলো, উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের নুর নবীর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৫) তার সহযোগী একই ওয়ার্ডের একরামুল হকের ছেলে রিয়াদ (৩০) ও মুছাপুর ক্লোজারের রেগুলেটর মোড়ের আলা উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন (২৮)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে গৃহবধূ (১৮) তার স্বামীর সঙ্গে নোয়াখালীর সদর উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল যোগে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর সুইচ গেট এলাকায় ঘুরতে আসে। সুইচ গেট পার হয়ে পূর্বদিকে বাগানের পার্শ্বে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর, রিয়াদ ও জালাল উদ্দিন হাতে ছুরি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘটনাস্থলে ভিকটিম ও তার স্বামীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা ভিকটিমের স্বামীকে গাছের সঙ্গে গামছা দিয়ে বেঁধে তার স্ত্রীকে বাগানে নিয়ে গণধর্ষণ করে। অপর আসামি জালাল উদ্দিন তখন ভিকটিমের স্বামীকে পাহারা দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় স্থানীয় জলদস্যু বাহিনী বালু উত্তোলন,খাস জায়গা দখল, ঘুরতে যাওয়া নারীদের ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতায় এগুলো কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। এর আগেও ঘুরতে যাওয়া একাধিক নারী মুছারপুর ক্লোজারে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানা যায়। তবে মানসম্মানের ভয়ে কেউ এসব ঘটনায় মুখ খুলতে চায় না।

কোম্পানীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত