ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্যরকম

নদীর জলে রংধনু!

নদীর জলে রংধনু!

রূপকথার বইয়ে কিংবা সিনেমায় হয়তো এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে; তবে বাস্তবে এ ধরনের অভিজ্ঞতা খুব কম মানুষেরই হয়েছে। চলুন, সেই অভিজ্ঞতার কথা একটু খোলাশা করেই বলি- সাধারণত আমরা জানি যে, নদীর জলের নিজস্ব রং হয় না। তবে প্রাকৃতিক কারণে বা পরিবেশ দূষণের কারণে পানির রঙের তারতম্য হতে পারে। কিন্তু কলম্বিয়াতে এমন এক নদী রয়েছে যে নদীতে অনেক রঙের সমাহার আপনি দেখতে পারবেন। কলম্বিয়ার ওই নদীতে লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, কমলাসহ মোট সাতটি রং আপনার চোখে পড়বে। যে দৃশ্য খুব কম মানুষের নজরেই পড়েছে। অবাক করে দেয়ার মতো এ নদী অবস্থান করছে কলম্বিয়ার সেরানিয়া দেলা মেকারিন্যা এলাকায়। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে নদীটি অবস্থান করছে। নদীটির নাম হচ্ছে ক্যানিও ক্রিস্টালস। রঙের বৈচিত্র্যতার কারণে অনেকেই এই নদীকে ইংরেজিতে বলেন ‘রিভার অফ কালার্স’ বা বাংলায় রঙিন নদী। আবার অনেক ব্যক্তি এ নদীকে ‘লিকুইড রেনবো’ বা তরল রংধনু বলে অভিহিত করে থাকেন। এ নদীটি অপর দিকে ‘মেলটেড রেনবো’ বা গলিত রংধন হিসেবেও পরিচিত। কখনো রক্তলাল, কখনো উজ্জ্বল নীল আবার গারো সবুজ, হলুদ এমনকি বেগুনি রঙের পাশাপাশি গোলাপি, কমলা, মেরুন রঙের পানি উপভোগ করতে পারবেন। সত্যি বলতে বছরের পর বছর ধরে এ নদীর পানি এভাবেই বয়ে চলেছে। নদীর গর্ভে থাকা এক প্রকার জলজ উদ্ভিদের কারণে এটি রঙিন দেখায়। আসলে ওই উদ্ভিদের নানা রঙ্গের প্রতিফলন নদীর স্রোতে দেখা যায়। সূর্যের আলোতে এটি আরো ঝলমল করে ওঠে। ওই উদ্ভিদের নাম হচ্ছে ম্যাকারেনিয়া ক্লাবিগেরা। এই উদ্ভিদটি বেশ পুরোনো। এলাকার একাধিক নদীতে এই উদ্ভিদের অবস্থান করছে। নদীতে জলের পরিমাণ খুব বেশি হয়ে গেলে বা জলের পরিমাণ খুব কমে গেলে রঙের বৈচিত্র্যতা তেমন দেখা যায় না। নদীটি এমন একটি পাহাড়ি জনপদে অবস্থিত যেখানে খুব বেশি মানুষ বসবাস করে না। তবে নানা অঞ্চল থেকে পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসেন। কলম্বিয়া প্রশাসন এ নদীটিকে সংরক্ষণ করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত