ঢাকা ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

ভিডিও দেখে আঙুর চাষে লাভলীর চমক

ভিডিও দেখে আঙুর চাষে লাভলীর চমক

সখের বসে আঙুর চাষ করে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন পেয়েছেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের দোয়ারিকা গ্রামের লাভলী বেগম। তিনি সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের স্ত্রী। এ দম্পতির আঙুর বাগানের খোঁজ যারাই পাচ্ছেন, তারা সেখানে গিয়ে ভিড় করছেন। আর প্রথম আবাদে ভালো ফলন পাওয়ায় আসন্ন মৌসুমে চাষের পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন লাভলী। তিনি জানান, আঙুর চাষের তাদের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না, ইউটিউব দেখেই উদ্বুদ্ধ হয়ে তার আঙুর চাষের কথা মাথায় আসে। সাংসারিক কাজ শেষে অবসর সময়কে কাজে লাগানোর চিন্তা থেকে এ উদ্যোগ নেয়া। তাই অবসরে ইউটিউবে ঝিনাইদহের এক আঙুর চাষির ব্লগ দেখি প্রথমে। তার ব্লগ দেখেই মাথায় আসে আঙুর গাছ লাগানোর চিন্তা। ওই চাষির মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে প্রতি পিস ৫০০ টাকা দরে ৪৬টি আঙুর গাছের কলম নিয়ে আসি। বাগানের আঙুরগুলো কাশ্মীরের ছমছম প্রজাতির জানিয়ে এই গৃহবধূ জানান, ২০২২ সালের মার্চ মাসের দিকে ঝিনাইদহের ওই চাষির সঙ্গে আলাপ করে বাড়ির সামনের ১২ শতাংশ পরিত্যক্ত জমি প্রস্তুত করি। মাটি প্রস্তুত করে কলম লাগাতে হয়। কলম লাগানোর ৭ মাস পরে প্রথমে কয়েক থোকা আঙুর হয়। ধীরে ধীরে সবগুলো গাছেই পর্যাপ্ত আঙুর ধরে। প্রথম দিকে ভয়ে ছিলাম আঙুরগুলো মিষ্টি না টক হয়, কিন্তু এরই মধ্যে সুস্বাদু এ আঙুর ১৪ কেজির মতো বিক্রিও করেছি। লাভলী বেগম জানান, আঙুরের একটি গাছ ১২ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে বলে শুনেছি। আমি সেই অনুসারে জিআই পাইপ দিয়ে মজবুত মাচা তৈরি করেছি। এখন আঙুরের পাশাপাশি ৩০০ টাকা করে এ গাছের কলমও বিক্রি করছি। প্রতিদিনই অনেক লোক বাগান দেখতে আসেন জানিয়ে লাভলী বেগম জানান, এদের মধ্য অনেকে আঙুর ও গাছের কলম কিনে নেন। লাভলীর দেবর আনিসুর রহমান বলেন, ভাবি প্রথমে চিন্তা করেন আঙুর চাষের। তার চিন্তার সঙ্গে একমত হয়ে আমরা পরিবারের সবাই তাকে সহায়তা করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, লাভলী বেগম নিজ উদ্যোগে পরিত্যক্ত জমিতে আঙুর চাষ করেছেন। তাকে বিভিন্ন সময়ে আমরা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছি। তাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্যান্য কৃষকরা যারা আঙুর চাষ করবেন তাদেরও আমরা একইভাবে সহায়তা করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত