কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের ৫ দিন পর অক্ষত অবস্থায় অপহৃত এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়।
গতকাল সকালে টেকনাফের রঙ্গিখালী পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক মো. আব্দুল হালিম। উদ্ধার শিশু খায়রুল আমিন (১২), টেকনাফের নাইক্ষ্যংখালী মৌলভীবাজারের বাসিন্দা মো. ইউনুসের ছেলে। সে মৌলভীবাজার ইসলামিক আজিয়া ফয়জুল উলুম হিফজ খানার শিক্ষার্থী।
আটকরা হলো- ইজিবাইক চালক মো. আলম, আহম্মদ হোসেন, মো. পারভেজ ও আজিজা খাতুন। তাদের সবাই টেকনাফে হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা বড়বিল এলাকার বাসিন্দা। টেকনাফ থানার পরিদর্শক মো. আব্দুল হালিম বলেন, গত শুক্রবার টেকনাফের মৌলভীবাজারের বাসিন্দা মো. ইউনুসের ১২ বছর বয়সি শিশু খায়রুল আমিন তার বন্ধু ফরহাদের সঙ্গে দেখা করতে হ্নীলা বাজার থেকে জনৈক আলমের ইজিবাইকে ওঠে। কিন্তু ইজিবাইকচালক আলম কৌশলে তার অপর সহযোগীর গাড়িতে তুলে দেয় খায়রুল আমিনকে। এরপর তাকে ইজিবাইকযোগে রঙ্গিখালী পাহাড়ের ঢালায় নিয়ে যায়। সেখানে হাত-বেঁধে পাহাড়ের উপর তুলে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে অপহরণকারিরা। তারপর ১৭ জুন রাতে অপহরণকারিরা খায়রুল আমিনের মায়ের মোবাইলে ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং নির্যাতনের শব্দ শোনান। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানায় অপহৃতদের স্বজনরা। এরপর অপহরণকারিদের অবস্থান শনাক্ত করে স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ দফায় দফায় পাহাড়ে অভিযান শুরু করে। কিন্তু অপহরণকারিরা বারবার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে।
কিন্তু মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে রাতে ইজিবাইকচালক আলমকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে, গতকাল সকালে রঙ্গিখালী পাহাড়ে পুনরায় অভিযান শুরু করলে পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে অপহরণকারি পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে অপহৃত খায়রুল আমিনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইজিবাইক চালক মো. আলম ছাড়াও আহম্মদ হোসেন, মো. পারভেজ ও আজিজা খাতুনকে আটক করা হয়েছে। আর অন্যান্য অপহরণকারিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল হালিম।