রাজবাড়ীতে গ্রাহকের ১০ লাখ টাকা নিয়ে এনজিও উধাও

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার আজিজ সরদার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাগদুলি রোডে মোমিন মন্ডলের ফ্ল্যাটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত সন্ধানী শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লি. নামে একটি ভুঁইফোঁড় এনজিও সংস্থা বেশ কিছু গ্রাহকের বেশ কয়েক লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।

কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের হাজেরা বেগম বলেন, ২ লাখ টাকা ঋণের আশায় ২০ হাজার ৩০০ টাকা জমা দিয়েছিলাম আজকে (গতকাল) আমাকে লোন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন এসে দেখি এনজিও’র লোকজন পালিয়েছে। আমি ঋণ করে টাকা দিয়েছিলাম, এখন আমি এ টাকা কীভাবে পরিশোধ করব। একই ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুরের ভ্যানচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি বিনিময়ে আমাকে ১ লাখ ৫০ হাজার লোন টাকা দেওয়ার কথা ছিল। আমি সুদে টাকা এনে এই টাকা দিয়েছি এখন আমার উপায় কী।

পাংশা পৌরসভার মৈশালা এলাকার ভ্যানচালক হেলাল বলেন, ধার কর্জ করে এনে ৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়েছিলাম ২ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। অফিসে এসে দেখি অফিস তালাবদ্ধ। পরে ভ্যান বিক্রি করে যার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম তার টাকা দিয়েছি। আমার দিন চলবে কীভাবে।

ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, ১০ থেকে ১২ দিন আগে সন্ধানী শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লি. নামের এনজিও সংস্থার লোকজন পাংশা ও কালুখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষকে অল্প লাভের বিনিময়ে লোন দেওয়ার কথা বলে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে গ্রাহক প্রতি ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। আজ (গতকাল) লোন না দিয়ে তারা প্রতারনা করে পালিয়েছে। ভুক্তভোগীদের ধারনা অনুযায়ী কয়েকশ’ গ্রাহকের প্রায় ১০ লাখের অধিক টাকা দিয়ে উধাও হয়েছে এই ভুঁইফোঁড় এনজিও সংস্থা।

স্থানীয়রা বলেছেন, এনজিও সংস্থার লোকজন ১০ দিন আগে মোমিন মন্ডলের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় দুইটি রুম ভাড়া নিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করার পর গতকাল তারা গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি আজকেই জানতে পারি যে সন্ধানী শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লি. এর প্রতিষ্ঠানটি কিছু গ্রাহকদের টাকা নিয়ে পালিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আমার দপ্তরে নিবন্ধনকৃত সমিতির তালিকা যাচাই করে দেখি ওই সমিতির নামে কোনো সমবায় সমিতির নিবন্ধন নেই। পরে আমি ও আমার সহকর্মী মিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ওই বিল্ডিংয়ে কোন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড নেই। সেখানে রবি কোম্পানির একটি সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে এবং ভবনের প্রতিটি রুম তালাবদ্ধ। তিনি আরো বলেন, ওই বেনামি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করে, তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।