পুতিন নয়, নিজেই নেতৃত্বশূন্য হয়ে রাশিয়া ছাড়ছেন!

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

দাবিকৃত মাত্র ২৫ হাজার সৈন্য নিয়ে রাশিয়ার মতো একটি পরাশক্তির দেশের বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার হুমকি দিয়েছিলেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। হুমকি দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নেতৃত্বশূন্য করার। পুতিন বিষয়টিকে হালকাভাবে না নিয়ে তার দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্কমূলক অবস্থানে রাখেন। পরিস্থিতির আলোকে ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নেয় সৈন্যরা। ভাগনারের সৈন্যদের মস্কোমুখী অভিযান প্রতিহত করতে সতর্ক থাকে ক্রেমলিন। ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের ‘আস্ফালন’ বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়। গত শনিবার পুরোদিন বিশ্বের মানুষ রাশিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। গুজব ছড়িয়ে পড়ে প্রেসিডেন্ট পুতিন রাজধানী মস্কো ছেড়ে গেছেন। তবে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, পুতিন মস্কো ছাড়েননি। রাশিয়ার নিয়মিত বাহিনী ১০ লাখ, রিজার্ভ আর্মি ২০ লাখ, আধা সামরিক বাগিনী ৪ লাখ ৪৯ হাজার। এই বিশাল বাহিনীর সঙ্গে ওয়াগনার প্রধান কতক্ষণ টিকে থাকার শক্তি রাখেন তা নিয়ে শুরু হয় আলাপ আলোচনা। অবশেষে রাশিয়ার মিত্র দেশ বেলারুশের মধ্যস্থায় ইয়েভজেনি প্রিগোজিন নিবৃত্ত হন। বিদ্রোহ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়।

সমঝোতার পরই রাশিয়ার ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের সৈন্যরা ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ-অন-ডন শহর ছেড়ে পুনরায় নিজেদের ক্যাম্পে চলে যেতে শুরু করে। এর আগে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেন, রক্তপাত এড়াতে তিনি তার যোদ্ধাদের ইউক্রেনে ফিরে যেতে বলেছেন। ইয়েভজেনি প্রিগোজিন এখন প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে চলে যাবেন এবং তার ও তার সৈন্যদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এর মাধ্যমে রাশিয়ায় একটি বিশৃঙ্খল এবং অভাবনীয় দিনের পরিসমাপ্তি হলো। ওয়াগনার গ্রুপ হলো ভাড়াটে সৈন্যদের নিয়ে গড়ে তোলা একটি বেসরকারি সেনাবাহিনী যা ইউক্রেনে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নিয়মিত লড়াই করছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ পরিচালনা নিয়ে রুশ বাহিনীর সঙ্গে ওয়াগনার গ্রুপের উত্তেজনা শুধু বাড়ছিল। প্রিগোজিন সাম্প্রতিক মাসগুলোয় রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার সমালোচনা শুরু করেছিলেন। গত শনিবার সকালে ওয়াগনারের ভাড়াটে সৈন্যরা ইউক্রেনে তাদের ফিল্ড ক্যাম্প থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রোস্তভ-অন-ডনে প্রবেশ করে।

শ্বাসরুদ্ধকর গতিতে তারা আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডের দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং মস্কোর উত্তরে আরেকটি শহর ভোরোনেজের সামরিক স্থাপনা দখল করে নেয় বলে জানা যায়।

যোদ্ধারা মস্কোর দিকে অগ্রসর হতে শুরু করলে, ক্রেমলিন মস্কোসহ অনেক অঞ্চলে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করে। মস্কোর মেয়র শহরের বাসিন্দাদের বাইরে ঘোরাঘুরি এড়িয়ে চলতে বলেন। ওয়াগনার সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনে হাজার হাজার এলিট চেচেন সৈন্য মস্কোর দিকে যাচ্ছে বলেও সতর্ক করা হয়েছিল। এর জবাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, যারা রাশিয়ার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদের শাস্তি দেয়া হবে। রুশ টিভি চ্যানেল রশিয়া ২৪-এর খবরে বলা হয়, বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো প্রিগোশিনের সঙ্গে বৈঠকের পর শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে উত্তেজনা প্রশমনে এই সমঝোতা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর ভিডিওতে দেখা যায়, ওয়াগনার সৈন্যরা রোস্তভ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। ওয়াগনারের যোদ্ধারা চলে যাওয়ার সময় তাদের আকাশে গুলি চালাতে দেখা যায়। টুইটারে ছড়িয়ে পড়া একটি ক্লিপে দেখা যায় যে ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সৈন্যরা যখর রোস্তোভ থেকে সরে যাচ্ছিলেন তখন সেখানকার একজন যোদ্ধা তার রাইফেলটি আকাশে তুলে গুলি ছুড়ছে।

রাস্তায় সারিবদ্ধ বেসামরিক মানুষদের দেখা যায়, তারা যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে হাততালি দিচ্ছে এবং উল্লাস করছে। গত কয়েক ঘণ্টা ধরে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটিতে ভাড়াটে গোষ্ঠীর প্রতি জনসমর্থনের অনেক ফুটেজ দেখা গেছে। রাশিয়ার ভাড়াটে সৈন্যের গ্রুপ ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন পুতিনকে নেতৃত্বশূন্য করার হুমকি দিয়ে একদিনও টিকে থাকতে পারলেন না।

ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের প্রায় মুখোমুখি হওয়ার প্রেক্ষাপটে ক্রেমলিন ঘোষণা দেয়, তিনি বেলারুশ যাচ্ছেন। বিদ্রোহের কারণে প্রিগোঝিন ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো তুলে নেয়া হবে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রক্তপাত এড়াতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো প্রিগোঝিনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। এই চুক্তি অনুসারে, বিদ্রোহের কারণে প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধে যেসব ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছিল সেগুলো তুলে নেয়া হবে। এছাড়া রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ওয়াগনার যোদ্ধাদের চুক্তি হবে। এর ফলে শনিবারের বিদ্রোহের কারণে তাদের কোনো সাজা হবে না।

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র। বেলারুশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুতিনের সম্মতিতে তাদের সথেঙ্গ প্রিগোঝিনের আলোচনা হয়েছে। লুকাশেঙ্কো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বিনিময়ে ওয়াগনার যোদ্ধাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়ার বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে অংশ নেয় ওয়াগনার বাহিনী। পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুতে লড়াইয়ে বড় ভূমিকাও রেখেছে এই বাহিনী। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই অস্ত্র সরবরাহে ঘাটতির অভিযোগ তুলে রাশিয়ার সামরিক নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন প্রিগোঝিন।

এ নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও সামরিক প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের সঙ্গে তার প্রকাশ্য বিরোধ তৈরি হয়। সর্বশেষ শুক্রবার তিনি রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তার দলের সৈন্যদের উপর বিমান হামলার অভিযোগ করেন।

ওয়াগনার প্রধান ঘোষণা দেন, তিনি যে কোনো মূল্যে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের পতন ঘটাবেন। একপর্যায়ে ইউক্রেন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে রোস্তভ-অন-দন শহরের সামরিক সদর দপ্তর দখলে নেন। এর পর তিনি বাহিনী নিয়ে মস্কোর দিকে রওনা হন। রাশিয়ার কয়েকটি শহর ও সামরিক স্থাপনার দখলও নেন। কিন্তু রাজধানী থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থানকালে বেলারুশের সঙ্গে তার চুক্তির খবর আসে এবং লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় প্রিগোঝিন অভিযান বন্ধে রাজি হন।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কো অভিমুখে যাত্রা স্থগিতের ঘোষণা দেন ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন। নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক অডিওবার্তায় এ ঘোষণা দেন তিনি। ফলে দিনভর চলা উদ্বেগ, উত্তেজনার আপাত অবসান হলো। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় মস্কো অভিমুখে যাত্রা বন্ধ করতে রাজি হন প্রিগোশিন। বেলারুশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার পর ভাগনার প্রধান প্রিগোশিন মস্কো অভিযান বন্ধ করতে রাজি হন। এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তেজনা কমাতে সম্ভাব্য একটি গ্রহণযোগ্য উপায় বের করা হবে। পাশাপাশি ভাগনার যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্মতি নিয়েই লুকাশেঙ্কো ও প্রিগোশিন এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এর আগে শনিবার রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনার বিদ্রোহ ঘোষণা করে। দলবল নিয়ে ভাগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন মস্কোর দিকে এগুতে থাকেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য এটা ভয়ংকর এক দিন। বলা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন পুতিনকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করে এত বড় হুমকিতে ফেলতে পারেনি কেউ। সেই হুমকি এসেছে তার ঘনিষ্ঠ বলয়ের মধ্যে থাকা ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের কাছ থেকে। প্রিগোশিন বিদ্রোহ ঘোষণা করে শনিবার তার বাহিনী নিয়ে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। রাশিয়ার কয়েকটি শহর ও সামরিক স্থাপনার দখলও নেন। পরে বেলারুশের মধ্যস্থতায় সেই অভিযান বন্ধে রাজি হন তিনি। গত শুক্রবার প্রিগোশিন অভিযোগ করেন, ইউক্রেনের ভাগনার যোদ্ধাদের ওপর রকেট হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু। এতে ভাগনারের অনেক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একে ‘প্রতারণা’ আখ্যায়িত করে তিনি রুশ সামরিক নেতাদের উৎখাতের হুমকি দিয়েছিলেন। মস্কো অভিযানকে তিনি বলেছিলেন, এটি কোনো সামরিক অভ্যুত্থান নয়, বরং ন্যায়বিচারের জন্য অভিযান। প্রিগোশিন জানিয়েছিলেন, তার সঙ্গে ২৫ হাজার যোদ্ধা রয়েছে। প্রিগোশিন অভিযান বন্ধের ঘোষণা দিলেও সংকটের সমাধান সহজে হবে কি না, তা অনুমান করা কঠিন বলে মনে করেন ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন হার্বস্ট। তিনি বলেন, এরপর কী হতে যাচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। ভাগনারের অগ্রগতির মুখে মস্কোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বার্তা আদানপ্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে বিবৃতি দিয়ে মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেন, মস্কোয় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকি কমিয়ে আনতে আজ সোমবার ছুটি ঘোষণা করা হয়। শহরের বাসিন্দাদের যতটা সম্ভব চলাচল কমানোর আহ্বানও জানান তিনি।

শনিবার মস্কোর রাস্তায় নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সামরিক বাহিনীর সাঁজোয়া যান চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেক সড়কে বসানো হয় তল্লাশিচৌকি। কয়েকটি সেতুও বন্ধ করে দেওয়া হয়। রেড স্কয়ারের চারপাশে দেওয়া হয় ব্যারিকেড। শহরটির গুরুত্বপূর্ণ ও বড় স্থাপনাগুলো ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল। ক্রেমলিনের দায়িত্বরত ব্যক্তি নিশ্চয়ই খুব ভয় পাচ্ছেন এবং সম্ভবত কোথাও লুকিয়ে আছেন, নিজেকে সামনে আনছেন না। আমি নিশ্চিত যে তিনি আর মস্কোতে নেই। গুঞ্জন শোনা যায়, পুতিন মস্কো ছেড়ে পালিয়েছেন। ফ্লাইট ট্র্যাকিংয়ে দেখা গিয়েছে যে, শনিবার দুটি প্রেসিডেন্সিয়াল বিমান মস্কো ছেড়ে গিয়েছে। তবে তার প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এখনো ক্রেমলিনেই আছেন। পেসকভ আরো বলেন, প্রিগোশিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করা হবে এবং তার ও তার সৈন্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ওয়াগনারের কোনো ভাড়াটে সৈন্য চুক্তি করতে চাইলে তারা এখনো তা করতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব। সূত্র : বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম