রেলওয়ের বিশেষ উদ্যোগ

আজ শেষ হচ্ছে পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকায় কোরবানির পশু পরিবহন

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম জোন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলা থেকে কম খরচে পশু ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে এবং আজ শেষ হচ্ছে এই উদ্যোগ। আলাদাভাবে শুধু গবাদি পশু পরিবহনের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রেলের না থাকায় ২৪ থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত বিদ্যমান ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনের পৃথক ওয়াগনে গবাদি পশু পরিবহনের পদক্ষেপ নেয়। পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, টানা তৃতীয়বারের মতো কৃষক ও ব্যবসায়ীদের চাহিদার ভিত্তিতে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশু পরিবহন করা হচ্ছে।

ট্রেনটি বিকাল ৪টায় রোহনপুর রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীসহ ৬টি স্টেশনে গরু বোঝাই করে গভীর রাতে ঢাকায় পৌঁছায়। আজ পর্যন্ত এই ট্রেন সার্ভিস চালু থাকলেও চাহিদা সাপেক্ষে একদিন বাড়ানো হতে পারে।

অসীম কুমার তালুকদার জানান, একটি ব্রডগেজ ওয়াগনে ২০টি গবাদি পশু ১১ হাজার ৮৩০ টাকা ব্যয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে। গবাদি পশু (২০টি গবাদি পশুর পাল) বোঝাইকৃত ওয়াগনের জন্য প্রতি কিলোমিটার ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৩৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথে গরুর পালবোঝাই ওয়াগনের জন্য খরচ হবে ৬ হাজার ৮৬০ টাকা। এছাড়া রাজশাহী থেকে ঢাকায় ২০টি গবাদি পশু পরিবহনের জন্য ১ হাজার ৩৭৬ টাকা সারচার্জ, ২ হাজার ৫৭৪ টাকা টার্মিনাল ভাড়া ও অন্যান্য খরচসহ সর্বমোট ১১ হাজার ৮৩০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, অংশীজনদের পরামর্শের ভিত্তিতে প্রান্তিক গরুর খামার মালিকদের সহজে এবং কম খরচে কোরবানির পশু ঢাকায় নিয়ে যেতে উৎসাহিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শুরু করে বিশেষ ট্রেনটি কাকনহাট, রাজশাহী, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমসহ ছয়টি রেলস্টেশনে থামছে। রেলওয়ের এই ওয়াগনগুলোতে পর্যাপ্ত জানালা রয়েছে, যার ভেতর দিয়ে বাতাস যাওয়া-আসা করতে পারে। তাছাড়া দিনের বেলায় অতিরিক্ত গরমে যাতে পরিবহনকৃত পশুগুলো অসুস্থ না হয়ে পড়ে, সেজন্য রাতে এই ট্রেন চলছে। গবাদি পশু এবং গবাদি পশু ব্যবসায়ীরাও যাতে একই ওয়াগনে তাদের গন্তব্যে যেতে পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, ট্রেনে করে কোরবানির পশু পরিবহন করায় ব্যবসায়ীদের সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে। পশুপালকারীদের চাহিদার ভিত্তিতে দেশের পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকায় গবাদিপশু পরিবহনের সুবিধার্থেই এই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।