মিষ্টি ও রসালো স্বাদের ফল কাঁঠাল। অনেকের কাছেই পছন্দের এই ফল। কেউ অনেকখানি কাঁঠাল খেয়ে ফেলেন একসঙ্গেই। উপমহাদেশের এই ফল খাদ্যগুণ ও পুষ্টিমূল্যে ভরপুর। আসুন, দেখে নিই এই ফলকে কেন ‘সুপারফুড’ বলা হয়। সংস্কৃতের পনস বাংলায় কাঁঠাল। ইংরেজি ‘জ্যাকফ্রুট’ নাম অবশ্য এসেছে পর্তুগিজ শব্দ ‘জাকা’ থেকে। কারণ পনেরো শতকে পর্তুগিজরা যখন ভারতের মালাবার উপকূলে এসেছিলেন, তখন স্থানীয় প্রতিশব্দ ‘চাক্কা পজহম’ থেকেই এই ফলকে চিনেছিলেন তাঁরা। ‘চাক্কা’ থেকেই ‘জ্যাক’ফ্রুট।
ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ কাঁঠাল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সংক্রমণকে প্রতিহত করার শক্তি বৃদ্ধি পায়। কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ প্রচুর। ফলে মৌসুমি এই ফলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। বিঘিœত হয় না রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতিও। পরিমিত পরিমাণে খেলে কাঁঠাল পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। কারণ অন্যান্য ফলের মতো কাঁঠালও ফাইবারসমৃদ্ধ।
কাঁঠালের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। ফলে ক্যান্সারের আশঙ্কা কম হয়। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ কাঁঠাল চোখ ভালো রাখে। দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়। ছানি এবং রেটিনার অন্যান্য অসুখকে প্রতিহত করে এই ফল। শরীরে অকালবার্ধক্য বা জরার ছাপকেও ঠেকিয়ে রাখে কাঁঠাল। কাঁঠাল ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ। এই ফলে হাড় মজবুত হয়। দূরে থাকে হাড়ের জটিল রোগের আশঙ্কা। থাইরয়েড এবং দূষণ থেকে হওয়া হাঁপানি রোধ করতেও কাঁঠাল কার্যকরী।