জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের কাজের প্রশংসা

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে দেশীয় উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্র সম্পূর্ণভাবে প্রাসঙ্গিক। জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে. মোহাম্মদ স্পিকারের সঙ্গে গতকাল তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘কোভিড অভিঘাতের কারণে সময়ক্ষেপণ হলেও ২০৩০-এর মধ্যে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে সরকার নিরলস কাজ করছে।’ সাক্ষাৎকালে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, টেকসই উন্নয়ন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা, লিঙ্গ সমতা, শিশু শ্রম, বাল্যবিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে তারা বিস্তারিত আলোচনা করেন।

স্পিকার বলেন, জাতীয় সংসদ সদস্যরা তাদের নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, বাল্যবিবাহ দূরীকরণ, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন এবং জাতীয় সংসদও এসব ক্ষেত্রে তাদের সবধরনের সহায়তা প্রদান করছে। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ডেলটা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন করেছেন। এই ব-দ্বীপের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গৃহীত কর্মসূচিতে জাতীয় সংসদও অংশগ্রহণ করবে। তিনি বলেন, একজন কন্যাশিশু তার জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, সেগুলো একটি মডেলের মধ্যে এনে তাকে বিভিন্ন প্রকার সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সক্ষম ও আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলার জন্য কাজ চলমান রয়েছে।

এ সময় তিনি কর্মজীবী মহিলাদের কাজের পরিবেশ উন্নয়নে সবাইকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান। স্পিকার বলেন, এ দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়িতে বসেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কোভিড অভিঘাতের কারণে শিশুশ্রম বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিশুদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আনতে হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষায় সবার জন্য আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করে শিশুশ্রম রোধ করা যেতে পারে।

ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে. মোহাম্মদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের

কাজের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়নে সংসদ সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

এ সময় স্পিকার এসডিজি বাস্তবায়নে আমিনা জে. মোহাম্মদের লিডারশিপের প্রশংসা করেন। জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস, ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিতসহ সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।