ঢাকা ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের ডিএসজি ও ফরাসি বাহিনীর জয়েন্ট কমান্ডারের সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের ডিএসজি ও ফরাসি বাহিনীর জয়েন্ট কমান্ডারের সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে গত রোববার জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মোহাম্মদ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উদ্ভূত বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। বৈঠকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সংকট উত্তরণে জোর দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, বৈঠকে এসডিজি, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রভাব এবং মহামারির ক্ষতিকর প্রভাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি (আমিনা) বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের প্রশংসা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার সরকার আন্তর্জাতিক খাদ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে যথাসময়ে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, তার সরকার সংকট নিরসনে সব পতিত জমি চাষের আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বাড়ির ছাদে খাদ্য ও সবজির চাষের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, তার সরকার কৃষি খাতে গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা এরইমধ্যে লবণাক্ত ও বন্যা সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন এবং সেগুলো আরো উন্নত করতে কাজ করছেন।

রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ‘কিন্তু, তারা আমাদের জন্য বড় বোঝা হয়ে উঠেছে। এটি সামাজিক সমস্যা তৈরি করেছে’ বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। আমিনা জে মোহাম্মদ বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ৫২টি দেশ এখন সংকটের দ্বারপ্রান্তে। ‘আমাদের সম্মিলিতভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-এট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ফ্রান্সের জয়েন্ট কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এমানুয়েল স্লার্স গত রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, ড্রাইডক সহযোগিতা এবং সমুদ্রপথে চলাচলসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা ২-৬ জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে ফরাসি ফ্রিগেট ‘এফএইচ সারকফ’-এর শুভেচ্ছা সফরকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ফ্রান্সের সমর্থন দান এবং শুরুর দিকে ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

১৯৭১ সালে আন্দ্রে ম্যালরাক্স এবং বার্নার্ড-হেনরি লেভির মতো নেতৃস্থানীয় ফরাসি বুদ্ধিজীবীরা যেভাবে আমাদের জনগণ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাও প্রধানমন্ত্রী গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে ড্রাইডক বিষয়ে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।

রিয়ার অ্যাডমিরাল ইমানুয়েল স্লার্স বলেন, ফ্রান্স ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি দেশ এবং তারা নৌচলাচলের স্বাধীনতা এবং স্বাধীনভাবে উড্ডয়নের পক্ষে। তিনি বলেন, ‘সমুদ্র আইনকে সম্মান করা উচিত।’ মানব পাচার, বিশেষ করে নারী পাচারও বিশ্বের জন্য একটি বড় সমস্যা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-এট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই উপস্থিত ছিলেন।

আলোকিত বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত