ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

বাড়ির আঙিনায় আম চাষে ভাগ্যবদল

বাড়ির আঙিনায় আম চাষে ভাগ্যবদল

গোপালগঞ্জে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের আমের চাষ বাড়ির আঙিনায় সম্প্রসারণ করেছে কৃষি গবেষণা স্থাপন প্রকল্প। ওই প্রকল্প থেকে গত ৫ বছরে গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বারি আমণ্ড৪, বারি আমণ্ড৩ ও বারি আমণ্ড১১ জাতের অন্তত ৩ লাখ আমের চারা কৃষক পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। এসব চারার মধ্যে অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার গাছে এ বছর আম ধরেছে। বাদবাকি গাছে আগামী ১ বছরের মধ্যে আম ধরবে। বাড়ির আঙিনার আম গাছে উৎপাদিত আম কৃষকের পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করছে। বাড়তি আম কৃষক বিক্রি করে টাকা রোজগার করছেন। এতে তাদের একদিকে যেমন পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে, অন্যদিকে আম বিক্রি করে রোজগারও করছেন। ৫ বছর আগে গোপালগঞ্জ জেলায় বিএআরআইয়ের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করণের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে কৃষি মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পে আমসহ ফল উৎপাদনে পশ্চাৎপদ গোপালগঞ্জ জেলায় ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পুষ্টির চাহিদা মেটানোই এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। গোপালগঞ্জে কৃষি গবেষণা স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. এমএম কামরুজ্জামন জানান, জলাভূমি (বিল) বেষ্টিত গোপালগঞ্জ জেলায় ফলের আবাদ কম। এখানে ফলের উৎপাদনও তেমন ছিল না। এ জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ফলের পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। তাই এ জেলায় ফলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য আমরা বিগত ৫ বছরে এ প্রকল্প থেকে ৩ লাখ আমের চারা বিতরণ করেছি। গোপালগঞ্জ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এইচএম খায়রুল বাসার বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার জন্য উপযোগী কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল আমের জাত বারি আমণ্ড৪, বারি আমণ্ড৩ ও বারি আমণ্ড১১। এ গাছ বিতরণের সময় কৃষকদের আমরা রোপণ ও পরিচর্যা পদ্ধতির ওপর প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এ তিন জাতের আমই বাড়ির আঙিনায় সবচেয়ে বেশি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এছাড়া আমের হপার পোকা, এন্থাক্সনোজ ও অন্যান্য পোকা দমনে আমরা কৃষকদের পরামর্শ এবং সহযোগিতা করেছি। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটাগাতী সাহাপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমান বলেন, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটি থেকে ৪/৫ বছর আগে পরপর ২ বছরে উচ্চ ফলনশীল জাতের ১০টি আমের চারা পাই। এ চারা বাড়ির আঙিনায় রোপণ করি। এখন এসব গাছ থেকে আমের ফলন পাচ্ছি। এ আম দিয়ে পরিবারের চাহিদা পূরণ করছি। বাড়তি আম আত্মীয়-স্বজনদের দিচ্ছি। আমাদের বাড়িতেই এ উন্নত মানের উচ্চ ফলনশীল জাতের আম ফলবে তা কল্পনাও করতে পারিনি। কাশিয়ানী উপজেলার চর পদ্মবিলা গ্রামের ছিরু মোল্লা বলেন, আমাদের গ্রামের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই গাছে গাছে ঝুলছে আম। এর কৃতিত্ব কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত