প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কারপ্রাপ্ত মৎস্যচাষি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে কোটি টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। পরিকল্পিতভাবে বিষ প্রয়োগে এই মাছ নিধন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষি। ৩০ জুন রাতের এ ঘটনায় গত রোববার রাতে চৌগাছা থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী চাষি।
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের নগরবর্ণী গ্রামে তার ২১ বিঘার একটি মাছের ঘের রয়েছে। এই ঘেরে তিনি আধুনিক চাষ পদ্ধতির মাধ্যমে উন্নত জাতের পাবদা, ট্যাংরা ও রুইসহ সাদা মাছের চাষ করেন। গত ৩০ জুন রাতে পরিকল্পিতভাবে মাছের ঘেরে বিষ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেয়ায় এই ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এলাকার ঐতিহ্যবাহী বেড়গোবিন্দপুর বাঁওড় সরকারিভাবে ইজারা দেয়া হয়। সর্বোচ্চ ইজারা মূল্য প্রদান করে তিনি সেটি ইজারা নিয়েছেন। মূলত বাঁওড়ের ইজারা পাওয়ার পর থেকে এলাকার একটি পক্ষ মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা বারবার বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এমনকি জীবননাশেরও হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, ওই চক্রই নগরবর্ণী গ্রামের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে। ৩০ জুন থেকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে সব মাছ মারা গেছে। বিষ প্রয়োগে ৫০০ মণ পাবদা, টেংরা ও ১০০ মণ সাদা মাছ মারা গেছে। যার বাজার দাম প্রায় এক কোটি টাকা।
চৌগাছা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হরিদাশ কুমার দেবনাথ জানান, মাছের ঘের আমি পরিদর্শন করেছি। বিষ প্রয়োগের কারণে মাছ মারা গেছে বলে ধারণা করছি। মৃত মাছ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘেরের পাহারাদার ফারুক হোসেন জানান, ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে একটি প্রাইভেট কার ও ৫-৬টি মোটরসাইকেলে কয়েকজন অচেনা যুবক ঘেরের কাছে আসেন। তাদের চলাফেরা অস্বাভাবিক ছিল। প্রথমে আমি মনে করেছিলাম ঈদের কারণে এলাকায় তারা বেড়াতে আসতে পারে। তারা স্থান ত্যাগের পরপরই ঘেরের একটি স্থানের মাছ লাফাতে থাকে। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই আমি মালিককে ফোনে জানাই।
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, ঘেরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের ঘটনায় রোববার থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছে।