অন্যরকম

৫০ বছর ধরে ঘুমান না এই বৃদ্ধ!

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

বয়স তার ৮০ পেরিয়েছে। এ বয়সে অধিকাংশ মানুষই যখন নিশ্চিন্তে বিছানায় ঘুমিয়ে দিন কাটান, তখন ইচ্ছা হলেও সে উপায় নেই ভিয়েতনামের এক বৃদ্ধের। তার চোখ থেকে ঘুমই যেন উধাও! গত পাঁচ দশক ধরে তিনি নাকি কখনো ঘুমাননি। পাঁচ দশকে দিনে বা রাতে কোনো সময়ই নাকি চোখের পাতা এক করতে পারেননি ৮১ বছরের তাই নিয়প। না! কোনো জাগতিক দুশ্চিন্তায় নয়। তবে বছরের পর বছর ধরে ঘুমে চোখ জড়িয়ে না এলেও দিব্যি সুস্থসবল তিনি। ব্যামো বাসা বাঁধা তো দূরের কথা, প্রতিবেশীদের অনেকের থেকেই নাকি বেশ সক্ষম এই ছিপছিপে বৃদ্ধ। শান্তির ঘুম উড়ে যাওয়ায় রাতের বেলাও ক্ষেতে গিয়ে হয় চাষবাস করেন, না হলে আকাশপানে চেয়ে বসে থাকেন। ১৮ হাজার ৬৬৫ দিনের বেশি ঘুমোননি এক অশীতিপর! এ কখনো হতে পারে? নিয়পের নিদ্রাহীনতার কারণ কী? সে কারণ জানতে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন দেশ-বিদেশের চিকিৎসকরা। তবে তার নিদ্রাহীনতার ‘রহস্যভেদ’ করতে পারেননি। নিয়প যাতে দুই চোখের পাতা এক করতে পারেন, সেজন্য তাকে ঘুমপাড়ানি গান শোনানো হয়েছে। পরিবার থেকে পাড়াপড়শী সবারই দাবি, নিয়প কখনো ঘুমান না! ভিয়েতনামের কুয়াং নাম প্রদেশের এই বাসিন্দাকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শিরোনাম ছেয়ে ফেলা অশীতিপরকে নিয়ে কৌতূহল বেড়েছে বই কমেনি। ১৯৪২ সালে কুয়ো সন জেলায় তার জন্ম। নিয়প জানিয়েছেন, ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় থেকেই ঘুমের ব্যাঘাত হতো তার।

যুদ্ধকালে রাজনৈতিক বা আর্থ-সামাজিক অস্থিরতায় ঘুম উড়ে যাওয়াটা অনেকের মতেই বিরল নয়। ফলে কিশোর বয়সে অনিদ্রা নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা ছিল না নিয়পের। তবে ১৯৭৩ সালের কোনো এক দিন থেকে নাকি তার দু’চোখ থেকে চিরতরে হারিয়ে যায় ঘুম। তবে নিয়প বলেন, ‘প্রতিবার হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা জানান, আমার কোনো রোগবালাই নেই। কখনো অসুস্থ হই না। ৫০ বছর ধরে এক মুহূর্তের জন্যও ঘুমোইনি।’ আর পাঁচটা সাধারণ লোকের থেকে দ্বিগুণ কাজ করি। তবে তা-ও জীবন ঠিকঠাক চলছে না।’ চোখের ঘুম আনতে রাতের পর রাত মদ্যপান করে বা ঘুমের ওষুধ খেয়েও দেখেছেন বলে জানিয়েছেন নিয়প। তাতেও ঘুমে ঢুলে পড়েননি।