বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সিলেট ব্যুরো

নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমে উন্নতির দিতে যেতে পারে। তবে উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা পার হতে পারে। গতকাল দুপুরে বৃষ্টিপাত ও নদনদীর অবস্থার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। একই সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সুরমা, যাদুকাটা, কুশিয়ারা ও রক্তি নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, মধ্যনগরসহ ছয় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। নদনদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে নেত্রকোনায়ও। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া জানান, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদনদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদনদীর পানি কমছে জানিয়ে তিনি বলেন, পানি কমার এ ধারা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার চলমান বন্যা পরিস্থিতির ক্রমে উন্নতি হতে পারে। উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদীর পানি সময়বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে। এতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদী ডালিয়া পয়েন্টে সাময়িকভাবে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলেও জানান সহকারী প্রকৌশলী। গতকাল সকাল ৯টার তথ্য তুলে ধরে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার, সোমেশ্বরী নদীর পানি কমলাকান্দায় ৩০ সেন্টিমিটার ও পুরোনো দেরাই নদীর পানি দেরাই পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।