ঢাকা ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্যরকম

সমুদ্রে অক্টোপাসের সংসার!

সমুদ্রে অক্টোপাসের সংসার!

অক্টোপাসদের নিয়ে মানুষের কৌতূহলের যেন শেষ নেই। সেখান থেকেই এবার জানা গেল নতুন খবর। সম্প্রতি সমুদ্র বিজ্ঞানীরা সন্ধান পেয়েছেন অক্টোপাসের সেই অজানা সংসারের। কোস্টা রিকা উপকূলের কাছে প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে সংসার পেতেছে অক্টোপাসরা। এ মহাসাগরের পৃষ্ঠদেশ থেকে প্রায় ২ মাইল নিচে তাদের বসবাসের কথা এত দিন জানাই ছিল না কারো। গত মাসে তিন সপ্তাহের জন্য সমুদ্র অভিযানে বেরিয়েছিলেন ২০ সদস্যবিশিষ্ট্য বিজ্ঞানীদের একটি দল। এরপর খোঁজ পাওয়ার পর ততক্ষণাৎ অঞ্চলটির রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে তৎপর হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিজ্ঞানী মহল। এই আবিষ্কারের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করে ‘শ্মিট ওশেন ইনস্টিটিউট’র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর জ্যোতিকা বিরমানি বলেছেন, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ৮০০ মিটারেরও বেশি গভীরে একটি অক্টোপাসের নার্সারির সন্ধান মিলেছে। সমুদ্র সম্পর্কে এখনো আমাদের কত কিছু জানার রয়েছে।’ গবেষণার জন্য তৈরি বিশেষ জলযান ‘ফ্যালকর’-এ চেপে সমুদ্রের গভীরে গিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। যাত্রাপথে তারা ‘ডোরাডো আউটক্রপ’ নামে একটি বিশেষ পাথুরে স্থান দেখতে পান। ২০১৩ সালে ওই জায়গায় বিজ্ঞানীরা অক্টোপাসের ডিম দেখেছিলেন। বুঝেছিলেন জায়গাটি অক্টোপাসের ডিম পাড়ার জায়গা। এ রকম দৃশ্য তার আগে কখনো দেখেননি বিজ্ঞানীরা। তবে সে বারে সবটা স্পষ্ট ছিল না। অঞ্চলটি অক্টোপাসের বংশবৃদ্ধির জন্য কার্যকরী কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কারণ, গভীর সমুদ্রের অক্টোপাসেরা শীতল পরিবেশ পছন্দ করে। কিন্তু সমুদ্রের ওই স্থানে তুলনামূলকভাবে তাপমাত্রা বেশি।

সাম্প্রতিক অভিযানে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন, ‘ডোরাডো আউটক্রপ’ অক্টোপাসের সক্রিয় নার্সারি রয়েছে। অক্টোপাসের সন্তান হওয়াও পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এখানে অক্টোপাসের সংসার মূলত ‘মুসোক্টোপাস’ গণের। এরা আকারে ছোট থেকে মাঝারি মাপের। বিজ্ঞানীদের অনুমান, গণনা জানা থাকলেও প্রজাতিটি নতুন কিছু হতে পারে। সমুদ্রের এই অঞ্চলটি সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় ছিল এত দিন। নিরাপত্তা নিয়ে তাই জোর দিতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। ‘ইউনিভার্সিদাদ দে কোস্টা রিকা’র জীববিদ্যার অধ্যাপক জর্জ কোর্তেস নুনেজ বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষের কাছে সমুদ্র হলো চটা জলভাগের মতোই। তারা কল্পনাও করতে পারেন না সেখানে কী আছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ কিলোমিটার নিচে সমুদ্রের তলদেশ। আমরা যা দেখতে পেয়েছি এই অভিযানে, সেটা কিন্তু সম্পূর্ণ অন্য একটি জগৎ।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত