দাম বাড়িয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

হিলি দিয়ে আসছে না কাঁচা মরিচ

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

অধিক মুনাফার কারণে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়ে দেয়ায় হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করছেন না। কেননা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বেঁধে দেয়া দামে মরিচ আমদানি করলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বিপুল লোকসানের মুখে পড়তে হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন হাটবাজারে পাইকারি ও খুচরা মোকামে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেন। ভারতে কাঁচা মরিচের দাম খুচরা বাজারে বেশি থাকা সত্ত্বেও সে দেশের সরকার বাংলাদেশের আমদানির ক্ষেত্রে অনুমতি দেন। কিন্তু দুই দিন পর ভারতের পশ্চিম বঙ্গের ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়ে দেন। জানা যায়, সেখানে প্রতি কেজির দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে ২৫০ রুপি। অথচ দেশের অন্যতম স্থলবন্দর হিলির পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। একটি সূত্র জানায়, গত রোববার ও সোমবার পশ্চিমবঙ্গের বাজারে কাঁচা মরিচের প্রতি কেজি দর ছিল ১৪০ রুপি। কিন্তু হঠাৎ করে মরিচের দাম বাড়িয়ে ১৪০ রুপির জায়গায় ২৫০ রুপিতে উঠে যায়। আর এর ফলে হিলির আমদানিকারকরা নিশ্চিত লোকসানের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য আপাতত ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ রেখেছেন।

হিলি স্থলবন্দর আমদানিকারক রপ্তানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি শাহিনুর রেজা শাহিন বলেন, হঠাৎ করে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের বেঁধে দেয়া গত সোমবারের দর অনুযায়ী কাঁচা মরিচ আমদানি করলে এখানকার ব্যবসায়ীদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে। আর সে কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আপাতত মরিচ আমদানি বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে দুই দিনে প্রায় ২৭ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এসেছে। হিলি স্থলবন্দর স্টেশনের উপ-কমিশনার বায়েজিত হোসেন বলেন, সোমবার থেকে এই বন্দরে ভারত থেকে কোনো কাঁচা মরিচের ট্রাক আসেনি। বর্তমানে হিলি বাজারে পাইকারি দরে কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচের দর ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট, বগুড়া, বিরামপুর, ফুলবাড়ী ও পাঁচবিবির পাইকারি মোকামগুলোতে সাধারণত হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ পাইকাররা কিনে নিয়ে যান। কিন্তু ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির খবর পেয়ে পাইকাররা বিপুল পরিমাণ কাঁচা মরিচ ঢাকাসহ অন্যান্য দেশের বড় বড় মোকামে নিয়ে গেছেন। হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মো. ইউসুফ আলী বলেন, গত বছরের ২৪ আগস্ট থেকে বন্দরে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। দেশের হাটবাজারে হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার গত ২৫ জুন থেকে আবারো ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। এ পর্যন্ত ১৩টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হিলি বন্দর দিয়ে প্রায় ৪ হাজার মে. টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পেলেও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করে অধিক মুনাফার কারণে কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়ে দেয়ায় গত সোমবার থেকে এই বন্দরে আমদানিকারকরা কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ রেখেছেন।