মাগুরা জেলায় এ বছর তেল জাতীয় ফসল তিলের ভালো ফলন হয়েছে। স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উ"চফলনশীল বীজ এবং আবহাওয়া ভালো থাকায় চলতি মৌসুমে তিলের ভালো ফলন হয়েছে। তিলের ভালো দাম পেয়ে কৃষকও বেশ খুশি। মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার চার উপজেলায় মোট ২ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে তিলের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায় ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর, শ্রীপুরে ৪৫৫ হেক্টর, শালিখায় ২৮৫ হেক্টর এবং মহম্মদপুর উপজেলায় ১৬৫ হেক্টর জমিতে উ"চফলনশীল জাতের তিলের চাষ হয়েছে। চাষকৃত মোট জমি থেকে প্রায় ৩ হাজার ৪৯৮ মেট্রিক টন তিল উৎপাদিত হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিনা-১, ২ এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি-১, ২, ৩, ৪ ও স্থানীয় উন্নত আটশিরা জাতের তিল চাষ করেছেন জেলার কৃষকরা। সদর উপজেলার বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক রতন কুমার জানান, তিনি কৃষি বিভাগের সহায়তায় এ বছর ২ বিঘা জমিতে উ"চফলনশীল জাতের তিল চাষ করেছেন। মৌসুমের শুরুতে ব"ষ্টিপাত কম হওয়ায় এ বছর তিলের ক্ষতিও কম হয়েছে। এ করণে ফলনও ভালো পেয়েছেন তিনি। দুই বিঘা জমি থেকে প্রায় ৯ মণ তিল ঘরে তুলেছেন। বাজারে প্রতিমণ তিল বিক্রি হ"েছ ৩ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে।
মাগুরা সদর উপজেলার বেণীপুর গ্রামের কৃষক সুধাংশু কুমার বিশ্বাস জানান, তিনি এ বছর ৩০ শতাংশ জমিতে বারি-৩ জাতের তিলের চাষ করেছিলেন। এতে তার সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। এ জমি থেকে তিনি প্রায় প্রায় ৪ মণ তিল পেয়েছেন। এ বিষয়ে মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মোশাররফ হোসেন জানান, মাগুরা জেলায় তিলের ফলন ভালো হয়েছে। তিল ভোজ্যতেল উৎপাদনে ভূমিকা রাখার পাশপাশি এটির বাণিজ্যিকি গুরুত্ব ব"দ্ধি পা"েছ। বিনা ও বারি কর্তৃক উদ্ভাবিত উ"চফলনশীল তিলের বীজ কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করার কারণে সার্বিক উৎপাদনের পাশাপাশি দামও ভালো পা"েছন জেলার কৃষকরা। তিলের তেল পুষ্টি সম"দ্ধ ও স্বা¯'্যসম্মত বিধায় কৃষক তিল উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।