ঢাকার কেরানীগঞ্জে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো বিস্কুট খাইয়ে অজ্ঞান করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছয় ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শফিকুল, নুর ইসলাম, গোলাম রাব্বি, আব্দুর রহমান, শীমা আক্তার, শাহনাজ আক্তার। গতকাল বুধবার বিকালে কেরানীগঞ্জে রাজেন্দ্রপুরে র্যাবের সদর দপ্তরে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২৭ জুন ছিনতাইকারী চক্র ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ হাসনাবাদ গরু হাটে যাওয়ার জন্য ভিকটিম ফিরোজের ইজিবাইক ভাড়া করে। গরুর হাটে যাওয়ার পর নুর ইসলাম ও গোলাম রাব্বিকে ইজিবাইকচালক ভিকটিম ফিরোজের সঙ্গে চা-বিস্কুট খাওয়ার কথা বলে শীমা ও শাহনাজ গরু হাটে চলে যায়। অতঃপর নুর ইসলাম ও গোলাম রাব্বি তাদের কাছে থাকা চেতনানাশক ওষুধ মেশানো বিস্কুটের অনুরূপ এক প্যাকেট বিস্কুট নিকস্থ চায়ের দোকান থেকে কেনে। পরবর্তীতে তারা কৌশলে ওই বিস্কুটের প্যাকেটটি পরিবর্তন করে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো বিস্কুট ইজিবাইক চালক ফিরোজকে খাওয়ায়। পরবর্তীতে নুর ইসলাম ও গোলাম রাব্বি ভিকটিম ফিরোজসহ ইজিবাইকে গিয়ে বসে। এরপরে ফিরোজের শরীরে চেতনানশক ওষুধের ক্রিয়া শুরু হলে তারা ইজিবাইকসহ ফিরোজকে ওই এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে কাউটাইল এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর নুর ইসলাম ও গোলাম রাব্বি ভিকটিম ফিরোজকে বেসামাল অবস্থায় গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে ইজিবাইক নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার পাগলা এলাকায় গিয়ে তাদের দলনেতা শফিকুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করে। শফিকুল ইসলাম ওই ইজিবাইকটি ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ফিরোজের পরিবার নিখোঁজের জিডি করলে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি ও মাদারীপুরের শিবচরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
